এদিনই সড়ক পথে দার্জিলিং (Darjeeling) রাজভবনে পৌঁছন রাজ্যপাল। যাওয়ার আগে একাধিক জায়গায় রাজ্যপালকে(Governor Jagdeep Dhankhar) কালো পতাকা দেখায় তৃণমূলের পার্বত্য শাখার কর্মীরা (TMC)। কার্শিয়ং ওঠার পথে রোহিণীতে কালো পতাকা দেখানো হয়। কার্শিয়ং স্টেশনের সামনেও চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। দার্জিলিং স্টেশনেও তৃণমূল কর্মীরা কালো পতাকা দেখায় রাজ্যপালকে। সেইসঙ্গে চলে "গো ব্যাক" স্লোগানও। পাশাপাশি পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের দাবি জানায় তৃণমূল কর্মীরা।
advertisement
তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, "রাজ্যে তৃণমূল নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়লেও রাজ্যপাল প্রথম থেকে রাজ্যের সমালোচনা করছেন। এমনকি দিল্লিতে গিয়েও রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এসেছেন তিনি। উনি রাজ্যপাল নন। বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছেন। তাই তাঁর সফরের বিরোধীতা।"
যদিও তৃণমূলের এহেন বিক্ষোভের পাল্টা সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল স্বয়ং! তিনি বলেন, "আমি সারপ্রাইজ! কত জন ছিল! ৩-৪ জন! রাজ্যপালকে কালো পতাকা কেন? কি দাবি? রাজ্যপালের দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।" রাজ্যপালকে কাল পতাকা দেখানোর ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, "আজ পাহাড়ের কালো দিন।"
অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সমর্থিত জিএনএলএফ বিধায়ক নীরজ জিম্বা বলেন, "রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। পুলিশের উচিৎ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। আজ পাহাড়ে কালো দিন। প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো যেতেই পারে। ওনারা জন প্রতিনিধি। কিন্তু রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান।"
এদিকে সূত্রের খবর, ৭ দিনের সফরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সফরে যেতে পারেন রাজ্যপাল। তিনি নিজেও জানান, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটনকে ঘিরেও সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।