তবে ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মুশারফ হোসেন জানান, তাঁর কাছে এ ধরনের কোনও আবেদন জমা পড়েনি । তবে তিনি ঘটনাটি জেনেছেন। তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে শিশুটিকে একটি ভাল হোমে রাখার ব্যবস্থা করবেন ৷
জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার কাপাশিয়া অঞ্চলের টিটিহা গ্রামের এক বাসিন্দার কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয় । স্ত্রী, ভারসাম্যহীন মেয়ে ও নাবালক ছেলেকে রেখে তিনি প্রয়াত হন ।
advertisement
অভিযোগ, এর পর ভারসাম্যহীন ওই মেয়ে ধর্ষিতা হন । মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লেও পরিবারের লোকেরা তার গর্ভপাত করাননি । এর পর ভারসাম্যহীন মেয়েটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
বর্তমানে ভারসাম্যহীন মেয়ে এবং নাতনি নিয়ে বসবাস করছেন প্রয়াত ব্যক্তির স্ত্রী । চরম দারিদ্রের মধ্যে তিনি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন । ভিক্ষাবৃত্তি করে ভারসাম্যহীন মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে সংসার চালান তিনি ।
দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারে ওই কন্যাসন্তানের ভরণপোষণ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে । তাই এই অসহায় শিশুকে কোনও একটি সরকারি হোমে রেখে মানুষ করার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে ।
পঞ্চায়েতের তরফে পরিবারের মাথা গোঁজার জন্য একটি ঘরও দেওয়া হয়েছে । এ ছাড়াও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই অসহায় পরিবারকে সমস্ত রকম সাহায্য করা হয়েছে। পঞ্চায়েত তাদের সাহা্য্য করলে শিশুটিকে ভরণপোষণ করতে প্রতিকূলতা দেখা দিয়েছে।
নিরুপায় হয়ে শিশুটিকে একটি হোমে রাখার জন্য তার দিদা লিখিত আবেদন করেছেন ।
কাপাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুফিয়া বিবি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত তরফ থেকে এই পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে । মাথা গোঁজার ঠাই হিসেবে সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়া হয় ।’’ স্থানীয় বাসিন্দা হাসুরুল ইসলাম জানান, ভারসাম্যহীন মহিলার ওই কন্যাসন্তানকে নিয়ে পরিবারটি বিপাকে পড়েছেন। সেই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতেই তাঁরা শিশুটিকে হোমে রেখে মানুষ করতে চাইছেন ।