একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রাখী খাতুন বলে, দীর্ঘ এক বছর আগে পর্যন্ত বেশ অনেকটাই কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তাকে। তবে বর্তমান সময়ে এই কষ্ট আর নেই। ক্যানসার রোগ বেশ অনেকখানি নিরাময় হয়েছে। বলতে গেলে এখন সে প্রায় ৯০ শতাংশ সুস্থ। দীর্ঘ সময়ের এই যাত্রাপথ মোটেই সহজ ছিল না। মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। এছাড়া ছিল জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসার এক অদম্য ইচ্ছে। এই দুই শক্তি মিলেই ক্যানসারকে সফলভাবে পরাস্ত করা সম্ভব খুব সহজেই।”
advertisement
রাখী খাতুনের মা মঞ্জিলা বেগম জানান, “দীর্ঘ বেশ অনেকটা সময় কষ্টের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়েছে গোটা পরিবারকে। পরিবারের একমাত্র কন্যাসন্তান রাখী। তাও সে আবার ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে পড়ে আচমকাই। ফলে পরিবারের শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে তাঁর চিকিৎসায় লাগানো হয়। যদিও বর্তমান সময়ে সে অনেকটাই সুস্থ। তবে আবারও তাকে নিয়ে চেকআপ করাতে যেতে হবে। সেজন্য বেশ অনেকখানি অর্থের প্রয়োজন। পরিবারের তিন সদস্য ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক। তবুও এই ক্যানসার নিয়েই পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিল সে নিজের অদম্য ইচ্ছেশক্তির জোরে।”
আরও পড়ুন : মায়ের কোলে চেপে পরীক্ষাকেন্দ্রে, মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে ‘লক্ষ্যের উচ্চতা’ ছুঁতে চায় ‘ছোট্ট তমশ্রী’
বর্তমান সময়ে বহু মানুষ এই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মুখ থেকে শুনতে আসেন তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতার কথা। ক্যানসার জয় করা বেশ অনেকটাই কঠিন। তার জীবনীশক্তিতে ক্যানসার জয় করার পর্ব অবাক করে বহু জনকে। এই একাদশ শ্রেণির স্কুলছাত্রী বহু মানুষের কাছে অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।