অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫-এর আনুমানিক ৩২৬.৬৭ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে অনুমোদিত এই প্রকল্পটি ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মাল্টি-ট্র্যাকিং এবংফ্লাইওভার/বাইপাস কাজের জন্য আমব্রেলা পদক্ষেপের অধীনে গ্রহণ করা হয়েছে। এই দ্বৈতকরণ পূর্ব বিহার এবং উত্তরবঙ্গের জনগণের জন্য আঞ্চলিক গতিশীলতা উন্নতকরণ, ভ্রমণের সময়কাল হ্রাস এবং ট্রেনের সময়ানুবর্তিতায় বৃদ্ধির জন্য প্রচুর সুবিধা হবে। এটি কৃষিপণ্য, উপভোক্তা সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী মালবাহী ট্রেনগুলির সুগমচলাচলকে সহজতর করবে, যার ফলে স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবেএবং কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বাজারে উন্নত প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিত হবে।
advertisement
আলুয়াবাড়ি রোড-ঠাকুরগঞ্জ সেকশনটি আলুয়াবাড়িকে নিউ জলপাইগুড়ির সঙ্গে সংযোগকারী হাই-ডেনসিটি নেটওয়ার্ক রুটে অবস্থিত। এই গুরুত্বপূর্ণ করিডোরটিতে ইতিমধ্যেই ৯৪% হাই ইউটিলাইজেশন রেটরয়েছে, যা ২০২৭-২৮-এর মধ্যে ২০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সেকশনের দ্বৈতকরণ করার ফলে লাইনের ক্ষমতায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত, ডিটেনশন সময় হ্রাস এবং পরিচালনের ক্ষেত্রে নমনীয়তা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরারিয়া এবং গলগলিয়ার মধ্যে নতুন লাইনের মতো সমান্তরাল পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে এই সেকসনের কৌশলগত প্রাসঙ্গিকতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: ধান উৎপাদনে গোটা দেশে ফের রেকর্ড, বাংলার মুকুটে নয়া পালক! সুখবর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এই জায়গাটি নিউ জলপাইগুড়ি সন্নিহিত হওয়ার কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর ট্রেন যাতায়াত করে। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রেনের যাতায়াত বেড়েছে এই অংশ দিয়ে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন,
বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে, এই প্রকল্পটি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরিবহণ নেটওয়ার্কের সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধি করবে, যার ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ করিডোরে যানজট কমাবে, যা ভারতের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই প্রকল্পটি দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার ফলে এই অঞ্চলের সংযোগ এবং উন্নয়নের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত হয়।
আবীর ঘোষাল