কোচবিহারের (Coachbihar) শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে (Sitalkuchi Firing) চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই নাছোড় মনোভাব ছিল মমতার। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত করাবেন তিনি। বলেছিলেন, 'যত বড়ই মাথা হোক, আমি শেষ দেখে ছাড়ব।' আর রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করলেন তিনি। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুই করেছিল সিআইডি। এবার সিট'ও গঠন করা হল।
advertisement
এদিকে, তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল ঘটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদল করা হয়েছে পুলিশ কর্তাদের। কোচবিহারের পুলিশ সুপারের উপরেও কোপ পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনার জেরেই পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করা হল। চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সরিয়ে দিল কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে। বুধবার রাতে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তও করবে নবান্ন।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ গ্রামবাসীর। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর বলেছিলেন, প্রায় ৩০০ জন ঘিরে ধরেছিল বাহিনীকে। শূন্যে গুলি চালিয়েও তাদের সংযত করা যায়নি। ফলে, গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা। তবে এসপি–র দাবি মানতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। তিনি ছুটে গিয়েছিলেন শীতলকুচিতে। আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরলে গুলিকাণ্ডের তদন্ত হবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে। দেবাশিস ধরের জায়গায় এলেন কে কান্নান। ভোটের সময় তাঁকে সরিয়েই দেবাশিস ধরকে এনেছিল নির্বাচন কমিশন।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে এদিন একাধিক ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে ৪০ শতাংশ শয্যা বাড়ানোর কথাও জানান তিনি ৷