চারপাশ জঙ্গলে মোড়া পাহাড়। হাজার রকমের ফুলের বাহার। হোয়াইট অর্কিড অন্যতম। আরো বাহারি অর্কিড তো রয়েছেই। রোডোডেন্ড্রনেরও দেখা মেলে। মূলত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফুলের বাহার। তবে এই সময়েও দেখা মিলবে নানা প্রজাতির পাহাড়ি ফুল। আকাশ পরিস্কার থাকলে সমতলের শিলিগুড়ি কিংবা দার্জিলিংয়ের জোরবাংলোর ছবি চোখের সামনে ভেসে আসে। আর কাঞ্চনজঙ্ঘার ছটা তো রয়েছেই। জানালা দিয়ে উঁকি।মারলেই ঘুমন্ত বুদ্ধের দর্শন মেলে! সেইসঙ্গে সূর্যাস্তের ছবিও অসাধারণ।
advertisement
বিদায়বেলায় সূর্যের রক্তিম ছটা ক্যামেরাবন্দি করা যেতেই পারে। এই তিন মাইলেই গড়ে উঠেছে হোম স্টে। "ইডেনলা" নামের এই হোম স্টে'তে মিলবে এক্কেবারে ভেষজ শাক, সবজী থেকে দেশী চিকেন বা মটন। সঙ্গে নেপালি স্পেশাল ডিস চাইলেই পাতে উঠে আসবে রকমারী মোমো, তাইপু। এখান থেকে ঘুরে আসা যাবে রেঞ্জার্স কলেজ, ডাউহিল এবং ভিক্টোরিয়া স্কুল। সন্ধ্যেই ডাউহিলের "হান্টেড প্লেস" তো পর্যটকদের কাছে অন্য অভিজ্ঞতা। যেখানে "ভূতের ভয়"!
সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ। হেঁটেই নেমে চলে যাওয়া যাবে খ্রীষ্টানদের প্রাচীন ধর্মীয় স্থান। কথায় আছে এই ধর্মীয় স্থানে কিছু মনস্কামনা করলে নাকি পাওয়া যায়। আছে ডিয়ার পার্ক আর পাইনের জঙ্গল। নিভৃতিতে কাটাতে পারেন। কানে আসবে নাম না জানা পাখির কলতান। দার্জিলিং ঘুরে আসতে পারেন। ঘন্টাখানেকের পথ।
কিছুটা নামলেই কার্শিয়ং শহর। এই হোম স্টে'তে মাথা পিছু খরচ ১ হাজার ৫০ টাকা। যার মধ্যেই মিলবে লাঞ্চ, ডিনার, ব্রেক ফাস্ট, ইভনিং স্ন্যাক্স।
কী ভাবে যাবেন? শিলিগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে সড়ক পথে কার্শিয়ং। তারপর কিছুটা ওপরে ডাউহিল-বাগোরা রোড ধরে এগোলেই বাঁ হাতে পড়বে "ইডেনলা" হোম স্টে। কার্শিয়ং থেকে মিনিট কুড়ি-পঁচিশের পথ। যোগাযোগের নং- 8768930462 / 9749943769