TRENDING:

Ananda Barman Death: টিকল না বিজেপির 'মেরুকরণ', রাজবংশী আনন্দের পরিবারও মমতার সাহায্যে ঋণী!

Last Updated:

মাথাভাঙায় গিয়ে জানিয়ে এসেছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারগুলিকেও দেখবেন তিনি। সেই মতোই ওই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবারই সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#শীতলকুচি: চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মাথাভাঙায় গিয়ে জানিয়ে এসেছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারগুলিকেও দেখবেন তিনি। সেই মতোই ওই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবারই সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই সাহায্য নিতে এবার এগিয়ে এলেন গত ১০ এপ্রিল, শীতলকুচিতেই অন্য একটি বুথে দুষ্কৃতী গুলিতে নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবারও। এদিন কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের সঙ্গে দেখা করেন আনন্দ বর্মনের মা। সেখানেই তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী যে সাহায্য ঘোষণা করেছেন, তা তাঁরা নিতে চান। এর আগে আনন্দের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, ছেলের বিচার চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য তাঁরা নেবেন না। সেই অবস্থান থেকে তাঁরা সরে এলেন।
মমতার পাশেই আনন্দর পরিবার
মমতার পাশেই আনন্দর পরিবার
advertisement

বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরি-ক্ষতিপূরণ ঘোষণার পাশাপাশি দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মাথাভাঙায় গিয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, আনন্দের খুনীদের শাস্তি দেবেন তিনি। যদিও ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপি তথা অমিত শাহ মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছিলেন। 'শীতলকুচির অপর বুথে মৃত্যু হয়েছিল আনন্দ বর্মণের। তিনি কি বাংলার ছেলে ছিলেন না?', এমন মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৃত্যুর রাজনীতি করছেন বলে সরব হয়েছিলেন বহু মানুষ।

advertisement

কিন্তু মমতা মাথাভাঙা যাওয়ার দিনই সেখানে আনন্দের দাদু উপস্থিত হয়েছিলেন। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল, তবে কি আনন্দের পরিবারও মমতার 'ঘনিষ্ঠ' হয়ে গেলেন? অবশ্য বিজেপি দাবি করেছিল, জোর করে আনন্দের দাদুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর পরিবার তৃণমূলের কোনও সাহায্য চায় না। কিন্তু রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর আনন্দের পরিবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত ক্ষতিপূরণ নিতে রাজি হয়ে গেলেন। যা বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়াল বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অরণ্যের নাম গণপুর, কলকাতার খুব কাছে মাত্র ৫০ টাকা খরচে গভীর জঙ্গলে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন!
আরও দেখুন

কোচবিহারের (Coachbihar) শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে (Sitalkuchi Firing) চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই নাছোড় মনোভাব ছিল মমতার। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত করাবেন তিনি। বলেছিলেন, 'যত বড়ই মাথা হোক, আমি শেষ দেখে ছাড়ব।' আর রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করেছেন তিনি। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুই করেছিল সিআইডি। এবার সিট'ও গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Ananda Barman Death: টিকল না বিজেপির 'মেরুকরণ', রাজবংশী আনন্দের পরিবারও মমতার সাহায্যে ঋণী!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল