বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরি-ক্ষতিপূরণ ঘোষণার পাশাপাশি দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মাথাভাঙায় গিয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, আনন্দের খুনীদের শাস্তি দেবেন তিনি। যদিও ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপি তথা অমিত শাহ মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছিলেন। 'শীতলকুচির অপর বুথে মৃত্যু হয়েছিল আনন্দ বর্মণের। তিনি কি বাংলার ছেলে ছিলেন না?', এমন মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৃত্যুর রাজনীতি করছেন বলে সরব হয়েছিলেন বহু মানুষ।
advertisement
কিন্তু মমতা মাথাভাঙা যাওয়ার দিনই সেখানে আনন্দের দাদু উপস্থিত হয়েছিলেন। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল, তবে কি আনন্দের পরিবারও মমতার 'ঘনিষ্ঠ' হয়ে গেলেন? অবশ্য বিজেপি দাবি করেছিল, জোর করে আনন্দের দাদুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর পরিবার তৃণমূলের কোনও সাহায্য চায় না। কিন্তু রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর আনন্দের পরিবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত ক্ষতিপূরণ নিতে রাজি হয়ে গেলেন। যা বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়াল বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
কোচবিহারের (Coachbihar) শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে (Sitalkuchi Firing) চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই নাছোড় মনোভাব ছিল মমতার। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত করাবেন তিনি। বলেছিলেন, 'যত বড়ই মাথা হোক, আমি শেষ দেখে ছাড়ব।' আর রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করেছেন তিনি। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুই করেছিল সিআইডি। এবার সিট'ও গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।