অবৈধ বালি খাদান, অনুমতি ছাড়াই বালি তোলার অভিযোগ রাজ্যে নতুন নয়। এবার নতুন পন্থা অবৈধ বালি কারবারিদের।
ওয়াকফ বোর্ডের নামে রসিদ ছাপিয়ে জাল রয়েলটি কাগজ বানিয়ে কারবার চালাচ্ছে বেআইনি বালি কারবারিরা। অনুমতিপত্র হিসাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে অশোক স্তম্ভ লাগানো ওয়াকফ বোর্ডের জাল রসিদ।
প্রভাবেই প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক ও লরিতে করে বালি পাচার হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। তাই এখন আর সবকিছু দেখেও হেলদোল দেখান-না তাঁরা।
advertisement
মালবাজারের চেলনদী থেকে এভাবে বালি তোলার পিছনে কারা? মালব্লকের রাজাডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতে রয়েছে চারটি নদীঘাট। এই চারটি ঘাট থেকেই অবৈধভাবে বালিপাথর নিয়ে যাওয়া হয়। ওয়াকফ বোর্ড কীভাবে বালি তোলার অনুমতি দেবে? সেই রসিদ পরীক্ষার দায়িত্বেই বা কারা? গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বা ভূমিকা কী? কোনও প্রশ্নেরই উত্তর নেই।
প্রতিদিন এত ট্রাক গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাট বেহাল। সরকারের ঘরে কোনও রাজস্ব আসছে না। উলটে যেভাবে লাগাম ছাড়া বালি তোলা হচ্ছে, তাতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা। কারা চালাচ্ছে এই কারবার? অশোক স্তম্ভ, ওয়াকফ বোর্ডের নাম ব্যবহার কারা করছে দুর্নীতি? স্থানীয় প্রশাসন এখনও অন্ধকারে ৷
স্থানীয় প্রশাসনের হুঁশ ফিরলে ভালো। না হলে অবৈধ বালি কারবারের জেরে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে।