বুধবার রাতে মাল নদীতে দুর্গা পুজোর বিসর্জন দিতে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ৷ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকা নদীতে হড়পা বান আসে৷ মুহূর্তের মধ্যে নদী ছেড়ে নিরাপদ স্থানে উঠে আসার চেষ্টা করেন অনেকে৷ কিন্তু তার মধ্যেই অন্তত কুড়ি থেকে পঁচিশ জন ভেসে যান বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: পুজো শেষ হতেই ফের বাড়ল কোভিড সংক্রমণ! রাজ্যজুড়ে বাড়ছে চিন্তা, দেখুন রিপোর্ট যা বলছে...
advertisement
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ পৌঁছন পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা৷ রাত পর্যন্ত নদী থেকে আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু৷ নিহতদের মধ্যে চারজন মহিলাও রয়েছেন৷
জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দল উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে৷ দুর্ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরেও নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বুলু চিক বরাইক দুর্ঘটনাস্থলেই ছিলেন৷ তিনি মাল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও৷ তাঁর আশঙ্কা, এখনও অনেকেই নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে৷ মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রবল জলস্রোতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেকে ভেসে যান৷ ঘটনার সময় কয়েকশো মানুষ ওই জায়গায় উপস্থিত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী৷
রাতেই মাল হাসপাতালে ভাঙচুরও চালান ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ রাজ্যের বিরোধিতা দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন৷ পাশাপাশি দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রশাসনকে অনুরোধও করেছেন তিনি৷