#গজলডোবা: মাঝ রাতে গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা শেষেই শুরু বড় দিনের উৎসব। সকাল হতেই চার্চগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। আর তারপরই ডে আউট। সেবক পাহাড় থেকে গজলডোবার ভোরের আলো। আবার অনেকেই পিকনিকের মুডে দুধিয়া, রোহিণীতে জমিয়েছেন ভিড়। দিনভর দেদার আনন্দ। নাচ গান। বড় দিনের উৎসবে মাতোয়ারা পাহাড় থেকে সমতল। ভিড়ে ঠাসা শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। দিন কয়েক আগেই পর্যটকদের উপহার দিয়েছিল ট্র্যাকলেস টয়ট্রেন। আজ তাতেই উপচে পড়া ভিড়।
advertisement
পাহাড়ী টয়ট্রেন অনেকেরই চড়া হয়নি। সেই স্বাদ আজ মেটালো কচিকাচা থেকে সব বয়সীরাই। লম্বা লাইন টিকিট কাউন্টারে। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে মাথায় সান্তাক্লজের টুপি পড়ে হাজির টিনএজাররাও। দিনভর চুটিয়ে আনন্দ। কেউ এসছে বাবা-মায়ের হাত ধরে। কেউ আবার বন্ধু-বান্ধব মিলে। একে একে লেপার্ড সাফারি। রয়েল বেঙ্গল সাফারি, তৃণভোজী প্রাণীদের সাফারি। সেলফি তোলা।
আর মোবাইল ক্যামেরায় সাদা রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে বন্দী করতেই বেশী ব্যস্ত ছিল পর্যটকেরা। শহর শিলিগুড়ির তো বটেই কলকাতা সহ অন্য জেলা থেকেও প্রচুর পর্যটক ভিড় জমিয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। সূত্রের খবর, ভিড় গতবারের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে যাবে। সাফারি পার্কের চারপাশ ঘুরে সেখানেই খাওয়া দাওয়া পর্যটকদের। সান্তাক্লজও হাজির সাফারি পার্কে। সব মিলিয়ে কীভাবে যে দিন ফুরিয়ে গেল তা বুঝে উঠতেই পারেননি পর্যটকেরা।
আবার অনেকেই আজ সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়েছে পিকনিকে। আর পিকনিক মানেই ডেস্টিনেশন পাহাড়ী গ্রাম দুধিয়া, রোহিণী। পাহাড়ের কোলে জমজমাট পিকনিক। পাতে চিপস, ছোটো মাছা ভাজা, পাঁঠার মাংস। চেটেপুটে খেয়ে বাড়ি ফিরে আসা। দিনভর হই হুল্লোর। পাহাড়েও একই ছবি। তিল ধারণের জায়গা ছিল না দার্জিলিংয়ের ম্যালে। মিরিক লেক থেকে ডেলো সর্বত্রই থিক থিক ভিড়। বড় দিনের উৎসবের বোধন হল যে। চলবে নতুন ইংরেজী বর্ষবরণের রাতে গিয়ে। উৎসবকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৎপর প্রশাসনও। চলছে বিশেষ তল্লাশি।