রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ক্রেশ চালু: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শতাধিক চা বাগানে ক্রেশ চালু করা হয়েছে।বন্ধ বাগান চালু: রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা পানিঘাটা চা বাগান পুনরায় চালু হয়েছে। অধিগ্রহণ: রাজ্য সরকার ডুয়ার্স অঞ্চলের ৬টি বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে, যা শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও সুবিধা নিশ্চিত করবে।
advertisement
স্বাস্থ্য কেন্দ্র: রাজ্য সরকার চা বাগানগুলিতে ৫৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রও চালু করেছে। বাগান সংলগ্ন এলাকাতেই হবে বাচ্চাদের রাখার ক্রেশ। সব চা শ্রমিককে দেওয়া হবে পরিচয়পত্রও। রাজ্য সরকারের এমন উদ্যোগের কথা বছর তিনেক আগে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জলপাইগুড়ির মালবাজারে আইএনটিটিইউসির চা শ্রমিকদের কর্মিসভায় চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি। সেখানেই অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘অনেককে বাচ্চা পিঠে বেঁধে চা পাতা তুলতে বেরোতে হয়। আমি আপনাদের অসুবিধার কথা জেনেছি। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে আপনাদের অসুবিধা হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চাওয়ালা বলেন। কিন্তু যাঁরা চা বাগানে কাজ করেন তাদের দেখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় থাকলেও আপনাদের দিকে নজর রেখে চলেছেন।
তাই ক্রেশে বাচ্চাদের রেখে আপনার নির্বিঘ্নে কাজে যেতে পারবেন। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’’তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছিলেন, ‘‘ সব কাজ হবে। এই সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এ বার থেকে বাচ্চা নিয়ে কাজে যেতে হবে না। ৫০টি করে বাচ্চা রাখার ব্যবস্থা হবে। মোট ২,৫০০ হাজার বাচ্চা রাখার ব্যবস্থা হবে। প্রথমে একটি ক্রেশে ৫০টি করে বাচ্চা রাখা গেলেও, পরে সেখানে যাতে ৬০-৭০টি বাচ্চা রাখার ব্যবস্থা করা যায়, সেই ব্যবস্থাও আমরা করব।’’
Abir Ghosal
