দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় থাকা এই স্থাপনাকে পুনরায় জীবন্ত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শিক্ষা দফতরের আধিকারিক শ্যামল চন্দ্র রায়ের কথায়, ‘‘ প্রশাসন চাইছে এটি সংরক্ষণ করে মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তুলতে। ঐতিহাসিক দিক থেকে এটি জলপাইগুড়ি শহরের এক অমূল্য সম্পদ, যা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে পর্যটন ও গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে।’’ বর্তমানে আয়রন হাউসের জরাজীর্ণ অবস্থা এবং জঙ্গলে ঢাকা পরিত্যক্ত চেহারা প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সম্প্রতি জেলায় প্রশাসনিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে, সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : পচা তরল গোড়ায় কয়েক ফোঁটা! ফুটফুটে সাদা টগরে ভরবে আপনার সাজি! ঝুড়ি ঝুড়ি ফুল পাওয়ার শর্টকাট ট্রিক্স
এই ঐতিহ্যবাহী ভবনে আজও টিনের ছাদ, পুরনো কাঠের কাজ এবং বেশ কিছু ঐতিহাসিক সরঞ্জাম অক্ষত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, এটিকে মিউজিয়াম বা প্রশাসনিক সভাকক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হলে শহরের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব আরও বাড়বে। একই সঙ্গে, উত্তরবঙ্গের ইতিহাসও সংরক্ষিত হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসনিক তৎপরতা কত দ্রুত বাস্তবে রূপ নেয় এবং কবে আয়রন হাউস তার হারানো গৌরব ফিরে পায়!