ভাঙচুর, গন্ডগোলের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় রতুয়া থানার পুলিশ এবং শিক্ষা দফতরের এস আই। ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশি নজরদারি থাকার পরও কীভাবে বহিরাগতরা স্কুলে ঢুকল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এরআগেও নকলে বাঁধা পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল ভাদো বিএসবি হাইস্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা৷ এবার একই কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর ও পরীক্ষকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলেরই পরীক্ষার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে৷ আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন তাদের অভিভাবকরাও৷ হামলায় রীতিমতো সন্ত্রস্ত্র রতুয়া হাইমাদ্রাসার শিক্ষকরা৷ গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এসআই অফ স্কুলসও৷
advertisement
ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার দিন কড়া গার্ডের প্রতিবাদে সরব হয়েছিল ভাদো বিএসবি হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীরা৷ গত ১৭ মার্চ রাস্তায় টুকলি ছড়িয়ে রতুয়া-ভালুকা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ৷ যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে কিছুক্ষণের মধ্যে অবরোধ উঠে যায়৷ এদিন পদার্থবিদ্যা পরীক্ষায় নকল করতে না দেওয়ায় মাদ্রাসায় ক্লাসরুম, চেয়ার-টেবিল, ফ্যান ভাঙচুর করে বেশকিছু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক। এমনকি অফিস রুমে ঢুকে তারা শিক্ষকদের মারধর করে বলেও অভিযোগ৷ হেনস্থা, মারধর করা হয় প্রধান শিক্ষককেও৷ দ্রুত সেখানে পৌঁছয় রতুয়া থানার পুলিশ৷ শেষপর্যন্ত পুলিশকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷
রতুয়া হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আতাউর রহমান জানান, ' গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল ১৯ নম্বর ঘরে৷ ওই ঘরে ভাদো বিএসবি হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীরা ফিজিক্স পরীক্ষা দিচ্ছিল৷ তারাই এই ঝামেলা পাকায়৷ কেন নকল ধরে ফেলা হচ্ছে? কেন কড়া নজরদারিতে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে তারা হইচই বাঁধিয়ে দেয়৷ পরীক্ষা শেষের পর ওরা ক্লাসরুম ভাঙচুর করে৷ ততক্ষণে কিছু অভিভাবকও ভিতরে চলে আসেন৷ তাঁরাও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে হাত লাগান৷ শিক্ষকদের মারধর ও হেনস্থা করা হয়৷ অফিস রুমে ঢুকে তারা ১৯ নম্বর ঘরের পরীক্ষককেও মারধর করে৷''
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এসআই অফ স্কুলস লাবণীতা চক্রবর্তী বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য, তাদের নাকি খুব কড়া নজরদারিতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে৷ ঘাড় ঘোরাতে দেওয়া হচ্ছে না৷ ওরা চাইছে, ওদের সবরকম ছাড় দিয়ে পরীক্ষা নিতে হবে৷ স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষকরা এমন দাবি মেনে নিতে পারেননি৷ এতেই আজ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছে৷ কিছু অভিভাবকও পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন৷ তবে, কারও অবাস্তব দাবি মেনে নেওয়া যাবে না৷''