বিগত দিনে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন এমন একাধিক অধ্যাপক ও আধিকারীদেরও ডেকে পাঠায় তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বেশকিছু অনিয়ম এবং পঠন-পাঠন ও ডিগ্রি প্রদান সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। যদিও এই নিয়ে তদন্তকারী দলের সদস্যরা বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেউই সংবাদমাধ্যমে কোন মুখ খুলতে চাননি।
বেশ কিছু দিন ধরেই মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কাজকর্ম নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সমাবর্তন উৎসবের নামে দেদার খরচ, বিশ্ববিদ্যালয় মোটা টাকা খরচ করে ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু, রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান এর টাকা খরচে অনিয়ম, বেশ কয়েকজন অধ্যাপকের সাসপেনশনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বেশ কিছু অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ জমা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছেও। এরপরেই নড়েচড়ে বসল রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তর।
advertisement
এদিন সকাল দশটা নাগাদ উচ্চশিক্ষা দফতরের চার সদস্যের তদন্তকারী দল পৌঁছয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই দলে কোচবিহারের পঞ্চানন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়াও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আর্থিক এবং আইন-কানুন সংক্রান্ত পদস্থ আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে পঠন-পাঠন ও আর্থিক লেনদেন নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। এদিন তদন্তকারী দলের সামনে হাজির হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আট থেকে দশজন অধ্যাপক। যাঁদের মধ্যে কয়েকজন আবার বর্তমানে সাসপেনশনের রয়েছেন। তদন্তকারী দলের সামনে হাজির হওয়া কয়েকজন এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে থেকেও কাজ করেছেন। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেন তদন্তকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার মূল সমস্যা কোথায়? কিভাবে স্বচ্ছতা আনা যেতে পারে? তা নিয়েও অধ্যাপকদের মতামত জানতে চান তদন্তকারী দলের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, তদন্তকারী এই দলটি উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে তাঁদের তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করবেন। আর এরপরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ঠিক করবে উচ্চশিক্ষা দফতর। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় আচমকা তদন্তকারী দল এসে পৌঁছানোয় এদিন রীতিমতো হইচই পড়ে। বিভিন্ন মহলে শুরু হয় চাপা গুঞ্জন।
-সেবক দাশশর্মা