শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত সূত্রে খবর, মাথাভাঙা থানায় এই নিয়ে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে তার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জানতে চাইল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারী ফিরদৌস শামিম জানান, তাঁদের দাবি অনুযায়ী সিআইডি তদন্তে অনুমোদন দিয়েছে আদালত। আগামী ৫ তারিখ বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারপরে হবে। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে যেন নিহতদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যদান করা না হয়। জেলাশাসকের মাধ্যমে অর্থ তুলে দেবে কমিশন।
advertisement
গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেন ফিরদৌস শামিম নামে এক ব্যক্তি। কোন পরিস্থিতিতে সেদিন গুলি চলেছিল, তা জানতে চেয়ে মামলা দায়ের করেন ফিরদৌস শামিম। তাঁর দাবি মূলত তিনটি— এক, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা, দুই, আগামীদিনে অভিযুক্তদের ভোট প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দেওয়া এবং তিন, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দান।
এদিকে করোনা নিয়েও এদিন আজ বেশ কিছু মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ পঞ্চম দফার নির্বাচন নিয়েও রিপোর্ট চেয়েছে ওই বেঞ্চ৷ শনিবার রয়েছে পঞ্চম দফার নির্বাচন৷ সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তার বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করা হয়েছে৷ আগামী সোমবারের মধ্য়ে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ অন্য়দিকে রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে একটি প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে । নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য এতে তাদের কোনও আপত্তি নেই৷ তবে সেই ক্ষতিপূরণ যেন ডিএম-এর মাধ্যমেই দেওয়া হয়।
মামলাকারীদের তরফে জানানো হয় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে প্রস্তাব এসেছে সেটা যেন প্রস্তাবের পর্যায়ে আটকে না থাকে বঞ্চিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন দ্রুত ক্ষতিপূরণ পায়।এ ব্যাপারে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানালেন, " শীতলকুচি ঘটনায় আজ মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয় এখনও পর্যন্ত দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে একটা সিআইএসএফ-এর পক্ষ থেকে আরেকটা আমজাদ হোসেনের পক্ষে দুটির ভিত্তিতে সিআইডি ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।"