আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা-বাগানের ব্যস্ততা তখন সব শুরু হয়েছে। একে একে কাজে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। আচমকা বাগানে ঢুকে পড়ে পঞ্চাশ-ষাটটি হাতি। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে আসা হাতির পালে বেশ কয়েকজন শাবকও ছিল। চা-বাগানের আঠারো নম্বর সেকসনে দাপিয়ে বেড়ায় তারা। আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় কাজ।
হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা শুরু হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বাঘ সুমারি চলছে। বনকর্মীরা ব্যস্ত সুমারিতে। তাই হাতি তাড়াতে যথেষ্ট সংখ্যক বনকর্মী পাওয়া যায়নি। কয়েক মাস ধরে বক্সা ও জলদাপাড়া জঙ্গল লাগোয়া বীরপাড়া, মাদারিহাট , কুমারগ্রাম ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে হাতির দল। পরিবেশবিদরা বলছেন, উত্তরবঙ্গে বনাঞ্চল কমছে। বাড়ছে হাতির সংখ্যা। জঙ্গলে খাবারের অভাবেই লোকালয়ে চলে আসছে হাতিরা। বন দফতরের দাবি, নানা ভাবে হাতি করিডর আটকে যাওয়ায় লোকালয়ে তাদের হামলা বাড়ছে।
advertisement
অন্যদিকে, দুই দলছুট হাতির হানায় নাজেহাল ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া । বাড়িঘর ভেঙে..... ধান, ছোলা খেয়ে মাঠ-ময় দাপিয়ে বেড়ায় তারা। নষ্ট হয় কয়েক বিঘা জমির ফসল। দলমার হাতির দল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় । দলছুট হাতির সংখ্যা প্রায় ষোল থেকে সতের। বৃহস্পতিবার ভোরে সেই দলছুট দুই হাতিই তাণ্ডব চালায় জারুলিয়ায়।
আগুন জ্বালিয়ে বা বোম ফাটিয়ে হাতিদের বিরক্ত না করার পরামর্শ দিয়েছে বন দফতর। হাতি তা়ড়াতে নতুন কৌশল নিচ্ছে তারা। মাঠ থেকে ফসল তোলার পরই জোর কদমে সেই মত কাজে নামবে বন দফতর।