সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাগরাকাটা এলাকা। প্রায় ৪০০-র বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। রাস্তায় গাছ পড়ে বন্ধ যান চলাচল।
মরাঘাট রেঞ্জের ফরেস্ট বস্তির ২৬০ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাড়িরর সমস্ত টিন ফুটো হয়ে যায় শিলা বৃষ্টিতে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয় । কচু, পাট,লঙ্কা, শশা সহ আরও কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়। জলপাইগুড়ি জেলায় নাগরাকাটা এলাকাতেই ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।
advertisement
এদিকে মালবাজারের ধুপঝোরা মূর্তি এলাকায় ঝরে গাছ ভেঙ্গে পড়ে একটি ঘরের উপর ৷ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানের উপরও পড়ে গাছের একাংশ। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। এদিকে লাটাগুড়ি থেকে মূর্তিগামী সড়কের উপর গাছ পড়ায় গাড়ি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়।
ধুপগুড়ির মরাঘাট এফ ভি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের টিনের চাল শিলা বৃষ্টির ফলে ফুটো হয়ে যাওয়ায় স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
মোগলকাটা রাভা বস্তির বাসিন্দা সন্তোস রাভা বলেন, শালবাড়ি ১ নং গ্রমপঞ্চায়েত এলাকার মোগলকাটা বন বস্তি এলাকায় প্রায় ১৬০ টি বাড়ি শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি গ্রস্থ হয়। সমস্ত বাড়ির টিন ফুটো হয়ে গেছে শিল পড়ে। টিনের ফুটো দিয়ে বৃষ্টির জল ঢোকায় রাতে অধিকাংশ লোক আত্মীয়ের বাড়িতে না হলে খাটের তলায় রাত কাটিয়েছে।
বিশেষ করে সোমবার রাতের প্রবল ঝড়,শিলাবৃষ্টিতে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা,ধুপগুড়ি ব্লকের সহ বিস্তীর্ণ গ্রাম এবং চা বাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চা গাছের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু আলু,ভুট্টা,ঢ্যাঁড়স, পাট,গম,কলাই গাছও নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে শিলাবৃষ্টির ফলে বনবস্তি এলাকায় ক্ষয় ক্ষতির ব্যাপারে খোজ খবর নেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ । .তার ছিঁড়ে বিদু্যৎহীন অনেক এলাকা। ক্ষতি হয়েছে চা বাগানেরও। এখনও ৬০ শতাংশ আলু জমি থেকে তোলা হয়নি। ফলে জমিতে জল জমে যাওয়ায় আশঙ্কায় আলু চাষীরা। ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট চেয়েছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ ।
আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি খুব একটা স্বভাবিক হওয়ার আশা নেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে কপালে কালো মেঘ জমছে ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের।