এছাড়াও, ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই, জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
জানা গিয়েছে, বানারহাট ব্লকের তোতাপাড়া বস্তি এলাকায় বাড়ির ভেতর দিয়ে নদীর জল বইছে। ডায়না নদীর জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে।
মিরিকের জসবির বস্তিতে ধসে চাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: পিরিতি কাঁঠালের আঠা… প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসল যুবক
এছাড়াও, পেডং, কালিম্পং অঞ্চলও টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাহাড়। শিলিগুড়ি ও সিকিমের বিকল্প রাস্তা হিসাবে পরিচিত ৭১৭ জাতীয় সড়কেও ধস নেমেছে। একইসঙ্গে ধস নেমেছে পেডং ও ঋষিখোলার মাঝে। যার জেরে বন্ধ সিকিম যাওয়ার বিকল্প পথ। ওই পথ ধরে রেনক হয়ে সিকিম যাওয়া যায়।
ধসের জেরে বিপর্যস্ত পাহাড়। টানা বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। শিলিগুড়ি-দার্জিলিংয়ের সংযোগকারী রোহিনী রোডে ধস। ব্যহত যান চলাচল।
জানা গিয়েছে, নাগরাকাটা ব্লকের শুলকা পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিপাড়া, খয়েরবাড়ি এলাকায় জলবন্দি প্রায় ২০০ পরিবার। জলের তলায় প্রাথমিক স্কুল, বাড়ি ঘর । শেষ সম্বল নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে এলাকার বাসিন্দারা।
একইসঙ্গে পোড়াঝার, ফুলবাড়ি, জলপাইগুড়িও রাতভর বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণে ভেঙেছে মহানন্দা নদীর বাঁধ। ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ফুলবাড়ির পোড়াঝার গ্রাম। জলের তলায় গোটা গ্রাম। উদ্ধারকাজে নেমেছে দমকল, পুলিশ কর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু, অন্য ছবি ধরা পড়ল উত্তর সিকিমে। লাচুংয়ে তুষারপাতের জেরে আনন্দে মেতেছেন বহু পর্যটকরা! সাদা বরফে ঢাকা লাচুং! ফলে খুশির হাওয়া পর্যটকদের মনে।