কাপড়ের উপর সুতো দিয়ে বিভিন্ন কাজ। সেই কাপড়কে স্থায়ী করতে এবং যাতে সুতোর কাজ নিঁখুতভাবে করা যায়, তার জন্য এক হুপের ব্যবহার করা হয়। সেই হুপ (hoop) গোলাকার কাঠের তৈরি এক ফ্রেম (frame)। সেই ফ্রেমে আটকেই কাপড়ের উপর বিভিন্ন ধরণের সুতোর কাজ করা হয়। বিবাহবার্ষিকী হোক, কিংবা কারও জন্মদিন। এই হুপ এমব্রয়ডারি (hoop embroidery) নজর কারছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাস্তু শাস্ত্র মেনে 'এই' ৫ উপহার দিন নিজের প্রিয়জনকে, পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির জোয়ার আসবে
দুবছর করোনার চোখ রাঙানি, এর মধ্যে কলকাতার চাকরি ছেড়ে দেয় সঞ্চালী। বছর ২৫-এর সঞ্চালী দাসের বাড়ি শিলিগুড়ির অদূরে নকশালবাড়িতে। জুওলজি অনার্স পাশ করে বর্তমানে বিএড করতে করতেই 'ক্রাফট ও ক্লক' (craft o clock) তৈরি করে সে। বাড়িতে বসে অর্ডার অনুযায়ী 'হুপ-এমব্রয়ডারি' করেন সঞ্চালী। বিয়ে, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, উপহার, সাধ অথবা কারও স্মৃতিতে এই হুপ এমব্রয়ডারি দেওয়া যায়। সঞ্চালীর মনের ইচ্ছে এবং তাঁর কলাকুশলীর ইতিমধ্যেই প্রশংসা করেছেন অনেকেই। শিলিগুড়িতে এই ধরণের এমব্রয়ডারি খুব কম। বিশেষত দিল্লী, মুম্বইয়ের মতো শহরে এর চল বেশি। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ভিডিও দেখেই এই এমব্রয়ডারির কাজ শিখেছেন সঞ্চালী।
ফেসবুকে পেজ তৈরি করে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে ইতিমধ্যেই। সঞ্চালীর কথায়, 'এক বান্ধবীকে উপহারস্বরূপ এটা দিয়েছিলাম। তারপর দেখলাম সকলেই ভালোবাসছেন। আমার মধ্যেও এক আত্মবিশ্বাস কাজ করল। তাই চাকরির অপেক্ষা করতে করতে আয়ের বিকল্প পথ হিসেবে এটাকেই বেছে নিয়েছি।' প্রত্যেকটি হুপের দাম শুরু হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকা। এরপর নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী সেটার উপর কাজ করাতে পারবেন আপনিও। নতুন এই ভাবনাকে সঙ্গী করেই সঞ্চালীর পথচলা মসৃণ হোক, এই কামনাই করছেন ওঁর প্রিয়জনরা।