২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রে সর্বভারতীয় যোগা প্রতিযোগিতায় অসামান্য সাফল্য লাভ করেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় মিলি চ্যাম্পিয়ান হয়ে স্বর্ন পাদক লাভ করেন। গরীব পরিবারের সন্তান হলেও পরিবার তাঁর উৎসাহে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বারা নকুলবাবুর মহারষ্ট্রে পাঠানোর জন্য আর্থিক সামর্থ না থাকলেও অন্যের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে তাকে পাঠাতে হয়েছিল। সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় অসামান্য সাফল্যের পর সবকিছু ভুলে যান নকুলবাবু।
advertisement
দুই মেয়ে এক ছেলে মোট পাঁচজনের পরিবারে গাড়ির চালিয়ে সংসার তিনি চালান । বাড়িতে বসেই কিছু করার ইচ্ছা তৈরী হয়। মিলি জেনেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভাল ভিডিও দেখাতে পারলে, তার চাহিদা আছে। এমনকী সেখান থেকে টাকা আয়ও হয়৷ সেটাকে মাথায় রেখে কাপড় পরে জিমন্যাষ্টিকের কিছু শট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়েন। সেই ছবি ছাড়ার পর তাঁর ওই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। মিলি জানিয়েছেন, জিমন্যাস্টিকস ভাল ভাবে শিখলে কোন সমস্যাই সমস্যা নয়। তাই কাপড় পরে এটা করেছেন। মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা নকুল সরকার।
নকুলবাবু জানান, গরীব মানুষের কাছে এসব হয়ত একটু বাড়াবাড়ি। তবে মেয়ে সমস্ত কিছু বুঝে এই কাজ করছে। তাঁর ছবি, ভিডিও দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। মেয়ে যা কিছু করতে চায় সেটাতেই তাকে সাহায্য করবেন বলেন জানা নকুলবাবু।