চিকিৎসার জন্য দার্জিলিং থেকে রেফার করে দেওয়া হয়েছে বিমল গুরুংকে। শিলিগুড়ি না বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে, তা চূড়ান্ত হবে কাল সকালে। এ বিষয়ে সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে দল এমনটাই জানান দলের সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি। আজ দুপুরের পর থেকে শারিরীক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে মোর্চা নেতার। একের পর এক চিকিৎসক এবং দলীয় কর্মী, সমর্থকদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ প্রথমে ফেরান তিনি। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অনুরোধও ফেরান গুরুং। কিন্তু ব্লাড প্রেসার, সুগার ক্রমশ কমতে থাকে তাঁর। হৃদযন্ত্রের সমস্যাও শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যেয় দার্জিলিং (GTA Darjeeling Update) জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুংকে (Bimal Gurung)।
advertisement
আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি! ১০৩ ঘণ্টার অনশনের পর হাসপাতালে বিমল গুরুং
এরইমধ্যে পাহাড়ে গুরুং-বিজেপি সম্পর্ক ক্রমশ জোরালো হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জিটিএর নির্বাচনের বিরোধীতায় গুরুংয়ের আমরণ অনশন ঘিরে আসরে নামে বঙ্গ বিজেপি। গতকাল রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক অনশন মঞ্চে যান। রবিবার গুরংয়ের অনশন মঞ্চে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। দার্জিলিংয়ের পাতলেবাসে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুংয়ের অনশন মঞ্চে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা গিয়ে কথা বলেন দীর্ঘক্ষণ। শনিবার রাজ্যের অনগ্রসর কল্যানমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক গিয়েছিলেন অনশন মঞ্চে। অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আজ জন বার্লাও একই অনুরোধ করেন। অনশন মঞ্চে জন বার্লার পর পৌঁছন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। সঙ্গে দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা, কার্শিয়ংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা সহ পাহাড়ের বিজেপি শরিক দলের নেতারাও হাজির হন। আর তাকে ঘিরেই গুরুং-বিজেপি কাছাকাছি আসার বার্তা আরও স্পষ্ট হয়।
যদিও এনিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অবশ্য বলেন, "গত ১১ বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের যে উন্নয়ন করেছেন, সেই উন্নয়নের যজ্ঞে সকলকেই সামিল হওয়ার আহ্বান জানাই।"
আরও পড়ুন: 'মানুষ সব দেখছে...’ রাজ্যপালকে ট্যুইট-বাণ অভিষেকের, ‘সীমারেখা' তরজা তুঙ্গে!
এদিকে এদিন বিকেলে রাজ্যপালের কাছে যান বিজেপি প্রতিনিধি দল। জিটিএ ভোট নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ জানায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, সাংসদ রাজু বিস্তা, দুই বিধায়ক নীরজ জিম্বা, বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা সহ শরিক দলের নেতারা আজ দার্জিলিংয়ে রাজভবনে যান।
রাজ্যপালের কাছে জিটিএ নিয়ে অভিযোগ জানান। জিটিএ পাহাড়বাসী চায় না। পাহাড়ের মানুষের আশা, আকাঙখা মেটাতে ব্যর্থ জিটিএ। তবু রাজ্য জোর করে ভোট করাতে চাইছে। স্মারকলিপি দিয়ে জানালো গেরুয়া প্রতিনিধি দল।