এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি মালদহে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের গণবিবাহের অনুষ্ঠানে গোলমাল বাঁধে। গণবিবাহের নামে ধর্মান্তরের অভিযোগ উঠে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে। ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তুলে গণবিবাহের আসরে হামলা চালায় ঝাড়খন্ড দিশম পার্টি এবং আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান।
দরিদ্র আদিবাসীদের বিয়েতে সাহায্যের নামে যাতে কোনও ভাবেই ধর্মান্তর করা না হয় এজন্যই সরকারিভাবে গণবিবাহ আসর বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা। এর আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের গণবিবাহে ধর্মান্তর নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এ রাজ্যে কোনও ভাবেই ধর্মান্তর করতে দেওয়া হবে না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই গণবিবাহের আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
advertisement
জানা গিয়েছে, আগামী ৫ মার্চ মালদহের হবিবপুরের বুলবুলচন্ডী পঞ্চায়েতের গিরিজা সুন্দরী হাই স্কুল মাঠে বিয়ের আসর বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণবিবাহের পাশাপাশি আদিবাসী পরিবারগুলিকে উপহার দেওয়ার এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।
দরিদ্র পরিবারের সাবালক মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে রূপশ্রী প্রকল্পে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে সরকারি সাহায্যের সুবিধা রয়েছে। গণবিবাহের মাধ্যমে এই রূপশ্রী প্রকল্পের প্রচার চালানো হবে। যাতে করে আদিবাসীদের মতো পিছিয়ে পড়া সমাজের মেয়েরা আরও বেশি করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে। এর পাশাপাশি গণবিবাহের নামে সহজ-সরল আদিবাসীদের যাতে কোনও ভাবেই বিভ্রান্ত করা না যায় এজন্যই গণবিবাহের আসর।
আগামী ২ মার্চ মালদহে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরের টানা কয়েকদিন মালদহে থেকে উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারি ও দলীয় প্রচার সারবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪ মার্চ মালদহেও প্রকাশ্য কর্মীসভা রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। এরপর ৫ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন গনবিবাহে। এখন মুখ্যমন্ত্রী গণবিবাহের আসরে হাজির হয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে কী বার্তা দেন সেটাই দেখার।
Sebak DebSarma