আরও পড়ুনঃ নতুন বছরে বুটিকের জিনিসে আকর্ষণ সকলের! শাড়ি থেকে কুর্তা নজর কাড়ছে মহিলাদের!
নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা এবং সাপ্তাহিক ক্লাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। আর এরমধ্যেই স্কুলে কর্মসংস্কৃতি বজায় রাখতে নয়া উদ্যোগ মালদহের স্কুলে। মালদহ জেলায় প্রথমসারির স্কুল হিসেবে পরিচিত ললিতমোহন শ্যামমোহিনী হাইস্কুল। এই স্কুলে ছাত্রসংখ্যা দেড় হাজার। শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন প্রায় ২৫ জন। এই স্কুলে পরিচালন কমিটি এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের যৌথ সিদ্ধান্তে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই চালু হয়ে গেল বায়োমেট্রিক হাজিরা।
advertisement
এখন থেকে কোন শিক্ষক, কখন স্কুলে এলেন, কখন স্কুল থেকে বেরিয়ে গেলেন, এসব কিছুর হিসেব রাখবে বায়োমেট্রিক যন্ত্র। তবে, আপাতত বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি হাতে লেখা হাজিরা খাতাও রাখা হচ্ছে। এই স্কুলে ইতিমধ্যেই বসেছে বায়োমেট্রিক যন্ত্র। সংগ্রহ করা হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রয়োজনীয় তথ্য। বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় মুখাবয়ব স্ক্যান করে, আঙ্গুলের স্পর্শে এবং নির্দিষ্ট অ্যাটেনডেন্স কার্ড এই তিনভাবে হাজিরা দেওয়া যাবে। দিনের শেষে কোন শিক্ষক কখন এলেন, আর কখন গেলেন তার প্রিন্ট আউট সংগ্রহ করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ ব্যবস্থা কার্যকর করতে খরচ হয়েছে মাত্র সাত হাজার টাকা জানিয়েছেন প্রধানশিক্ষক বিষ্ণুপদ রায়।
রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে একশ্রেণির ‘ফাঁকিবাজ’ শিক্ষকদের জন্য কর্মসংস্কৃতি প্রশ্নের মুখে। অনেকসময় সহকর্মীরা দেরিতে এলেও তাঁদের ‘লেট মার্ক’ কিংবা আবসেন্ট করতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন প্রধান শিক্ষকেরা। মালদহের ললিতমোহন স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা। যদিও বুধবারে অনেককেই দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ১০:৩৫ মিনিটের তুলনায় অনেক দেরিতে স্কুলে এসেছেন। শিক্ষকদের কর্মসংস্কৃতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা নিঃসন্দেহে যুগ উপযোগী উদ্যোগ। মালদহের এই স্কুলের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে মালদহ বা রাজ্যের অন্যান্য স্কুলেও দিশা দেখাবে কিনা এখন সেটাই দেখার।