ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছেছে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যবই। আজ থেকেই এই জেলার বন্যা দুর্গত এলাকায় বই পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এর ফলে পড়ুয়াদের অনেকখানি সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
গত ৫ অক্টোবর বিধ্বংসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাগরাকাটা, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, সদর ও মালবাজার এলাকা। প্রাথমিক হিসেবে জানা যায়, দশ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীর বইপত্র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২টি বিদ্যালয়।
এরপর ক্ষয়ক্ষতির হিসেবনিকেশ করে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠিয়ে ছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই মতো পাঠ্যবই পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল সরকার। আজ থেকে জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা প্লাবিত পাঁচটি ব্লকে বই পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে যাবে। স্কুল খুললে স্কুল থেকেও প্রয়োজনীয় বই পেয়ে যাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা।