বন দফতর সূত্রে খবর, গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ২৫২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার গণনা হচ্ছে গন্ডারের। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অধিনে ২০ টি রেঞ্জ রয়েছে। কুনকি হাতির পিঠে চড়ে বনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা গন্ডার গণনার কাজে যুক্ত হয়েছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা গরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে এ দিন গন্ডার গননা শুরু করেন। এ দিন বেশ কয়েকটি গন্ডার শাবকের দেখা মিলেছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: একের পর এক হাঁস-মুরগি উধাও! তাকে ধরতে সন্ত্রস্ত্র গ্রামে খাঁচা বসাল বন দফতর
২০১৯-এর শেষ গন্ডার সুমারিতে ৫২ টি বড় এবং ৩ টি শাবক গন্ডারের দেখা মেলে। ২০১৯ সালের পর মাঝে বেশ কয়েকটি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন কারনে। এ বার সেই সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান বনকর্মীদের একাংশের। বন দফতরের তরফে গন্ডার সুমারি উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য দু'দিন বন্ধ রাখা হয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ। গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান একশৃঙ্গ গন্ডারের বাসস্থানের জন্য খ্যাত। তাই এখানে গন্ডারের সংখ্যার উপর তার নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও বিভিন্ন বিষয় নির্ভর করে। এদিকে গন্ডার গণনাতে বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কে শুমারির কাজে না নেওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: সাধের টয় ট্রেনেই শেষ জীবন, মারাত্মক ঘটনা পাহাড়ে!
পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ন্যাসের কর্মকর্তা নফসর আলি বলেন, 'সারা বছর আমরা বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করি, মানুষকে সচেতন করা কোন বন্যপ্রাণী লোকালের বেরিয়ে এলে বনদপ্তর এর সাহায্যে তাদেরকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া। বন দফতরকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করি। বিগত বছরগুলোতে আমরা গন্ডার গননাতে অংশগ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু এবছর আমাদেরকে জানানো হয়নি। অথচ নতুন নতুন সংগঠনকে গণনার কাজ নেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাব।'
জলপাইগুড়ির অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, 'গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ২০১৯ সালের শেষবার গণনাতে ৫২ বড় গন্ডার এবং ৩ টি শাবকের মিলেছিল, এবার সেই সংখ্যাটা অনেকটা বাড়বে বলে আমাদের অনুমান। একেকটি দলের মধ্যে রয়েছেন ৩-৪ জন করে। যার মধ্যে বন কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা রয়েছেন।'