উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়ার জঙ্গলে গত এক মাসে একাধিক গন্ডারের মত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অ্যানথ্রাক্সে মৃত্যুু হয়েছে তাদের।
কিন্তু, মৃৃত্যুর প্রকৃত কারণ যে অ্যানথ্রাক্সই তা জোড় দিয়ে বলতে পারছেন না বন দফতরের কর্তারা। নিয়ম মাফিক মৃৃত গন্ডার গুলো শরীর থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতার বেলগাছিয়া আর উত্তরপ্রদেশের বারেলীর পশু হাসপাতালে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে বোঝা সম্ভব হবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে গন্ডার গুলোর।
advertisement
কিন্তু ততদিন কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বসে থাকতে নারাজ বন দপ্তর। তাই বৃহস্পতিবার অরণ্য ভবনে এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ঠিক হয়েছে আপাতত জলদাপাড়ার এই রেঞ্জ গুলোতে বিশেষ নজর রাখা হবে। যাতে সেখানে বাইরে থেকে নতুন কোনও জন্তু জানোয়ার প্রবেশ করতে না পারে। একইসঙ্গে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় যেসব জন্তু জানোয়ার রয়েছে তারা যেন বাইরে বের হতে না পারে। এই কাজের জন্য সেখানে বেশি সংখ্যায় বনকর্মীদের মোতায়ন করা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা আইসোলেশন এর ব্যবস্থা করেছি। যাতে আইসোলেশন এলাকার মধ্যে নতুন কোনও জন্তু জানোয়ার না ঢোকে বা সেখান থেকে বাইরে না যায়। যতদিন পর্যন্ত না রিপোর্ট আসছে ততদিন পর্যন্তত এই ব্যবস্থা চলবে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর অবস্থান বুঝে ব্যবস্থা করবে বন দফতর।
SOUJAN MONDAL