বিস্ফোরণস্থলে যে গর্ত তৈরি হয়েছে, তার মাপজোক করেন বিশেষজ্ঞ দল। সুজাপুরে একই ধরনের প্লাস্টিক কারখানা রয়েছে এমন কারখানার মালিকদের ডেকে কথাও বলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। প্লাস্টিক কারখানায় যে ধরনের মেশিনে বিস্ফোরণ হয়েছে সেই মেশিন কীভাবে চলে, মেশিনে কী কী যন্ত্রাংশ থাকে, মেশিনে বৈদ্যুতিক সংযোগ কীভাবে করা হয়, মেশিন কত ক্ষমতাসম্পন্ন এমন নানা বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় প্লাস্টিক কারখানার মালিকদের কাছ থেকে। এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিস্ফোরণ হওয়া মেশিনের অংশবিশেষের নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
বিস্ফোরণের পর কোথায়, কী অবস্থায় মৃতদের দেহ পড়ে ছিল সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। কার্যত জ্বলে যাওয়া কারখানার ছবিও ক্যামেরাবন্দি করা হয়। সুজাপুরের জামিরঘাটা এলাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানাতেও যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সেখানে গিয়ে চালু মেশিন সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের পৌঁছনোর খবর চাউর হতেই বেশ রাতেও এলাকায় ভিড় জমে যায়। আশপাশের প্রচুর উৎসুক মানুষ এলাকায় ভিড় করেন। রাতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে তদন্তের কাজ। তবে এখনই বিস্ফোরণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান চিত্রাক্ষ সরকার। আগামিকাল সকালে ফের এলাকায় তদন্ত চালাবেন বিশেষজ্ঞরা।
SEBAK DEB SARMA