তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ায় সকালের পর থেকে জলস্তর আরও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দোমোহনি এলাকায় হলুদ এবং বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি জলঢাকা নদীর জল স্তর বেড়ে যাওয়ায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতরও। ধূপগুড়ি পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ডেও ছবিটা উদ্বেগজনক। জল ঢুকে গিয়েছে ঘরের ভেতরে । ভোগান্তির শিকার এলাকার মানুষ। জলে ভাসছে ধূপগুড়ি বাজারও। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটাগামী জাতীয় সড়কে সুপারমার্কেট মোড় এলাকায় এক হাঁটু জল। সবথেকে বেশি খারাপ অবস্থা ধূপগুড়িতে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। যেখানে প্রায় কুড়িটি বাড়ি জলে ডুবে। ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও জল জমেছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটা অংশ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক অংশে।
advertisement
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের দেখা নেই। বেহাল নিকাশের কারণে সমস্যায় সাধারণ মানুষ। যেভাবে বৃষ্টি চলছে তার ফলে অবস্থার অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারও জলমগ্ন। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৭৬ মিলিমিটার।
মরশুমে এই প্রথম এত বৃষ্টি হল আলিপুরদুয়ারে। গোটা শহর জলমগ্ন। ভুটানেও অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে কালজানি, রায়ডাক, তোর্সা, ডিমা সহ বিভিন্ন নদীতে। শহরের ১, ৮, ৯, ১৬, ১৩, ৫ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জল মগ্ন। জলমগ্ন শহরে নৌকা করে করেই চলেছে উদ্ধার কাজ।