ওই বিমানের এক যাত্রী কৃষ্ণ দেব বলেন, 'প্রচন্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম আমরা। এতক্ষণ ধরেও বিমানটি নামতে না পারায় আমরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিমানের অফিসার, কর্মীরা আমাদের আশ্বস্ত করে গিয়েছেন। তবে, এই রুটে আগেও এই ধরনের সমস্যা হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, বাগডোগরা বিমানবন্দর হল উত্তরপূর্ব ভারতের বৃহত্তম এয়ারপোর্ট। তাই এই এলাকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে এই বিমানবন্দরের। যাবতীয় পরিকাঠামো থাকায় প্রতি বছর এই বিমানবন্দরে দেশ-বিদেশের পর্যটকের সংখ্যা ত্রমেই বেড়ে চলেছে। এমনকী বছরে দশ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুন: মুকুল রায় কি সত্যিই অসুস্থ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর!
আগামী দিনে শুধু পূর্বাঞ্চল নয়। দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গেও আকাশপথে যুক্ত হবে বাগডোগরা বিমানবন্দ। এমন ইঙ্গিত আগেও দিয়েছিলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য বারবার এখানে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। গত বছরই বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমি দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রককে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য ১০৪ একর জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বাগডোগরা উত্তরবঙ্গের একমাত্র সচল এবং বাণিজ্যিক বিমানবন্দর। দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় ১৭ নম্বরে বাগডোগরার নাম এসেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বায়ুসেনা এবং রাজ্য সরকার এএআইকে ২৩ একর জমি দিয়েছিল। তাতে অত্যাধুনিক ক্যাট-২ প্রযুক্তির ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আইএলএস বসানো হয়েছিল। খারাপ আবহাওয়ায় এবং রাতের বিমান চলাচলের সমস্যা মেটাতে বায়ুসেনাও সন্ধ্যা ৬টার পর বিমান ওঠানামার অনুমতি দেয়।
