এরআগে সোমবারই রফতানিকারক একাধিক সংস্থার সঙ্গে শুল্ক দফতর কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। এরপর সোমবারই পচনশীল পন্যবহনকারী শতাধিক ট্রাককে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ পাঠানো হয়। তবে পাথর সহ যেসব পন্য এখনই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই, সেইসব পন্যবাহী গাড়ি সীমান্তে আটকে রয়েছে। মহদীপুর এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি ফজুলল হক বলেন, করোনা ভাইরাসের সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমদানী রপ্তানী বানিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সময়সীমা আরও বাড়তে পারে। রাজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্থল বন্দর মহদীপুর। বছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার আমদানি ও রপ্তানী বানিজ্য হয় এই সীমান্ত দিয়ে। ভারত থেকে বাংলাদেশে যায় বিভিন্ন রকমের ফল, পেঁয়াজ এবং পাথর। প্রতিদিন গড়ে ২০০-র বেশী ট্রাক যায় বাংলাদেশে।
advertisement
সীমান্ত বানিজ্য বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি যেসব ভারতীয় গাড়ি চালক এবং খালাসী মালপত্র নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মঙ্গলবার তাঁরা দেশে ফিরতেই সীমান্তে থার্মাল চেকিং করা হয়। রপ্তানী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকে যাওয়া গাড়ি গুলিতে প্রতিদিন ডিটেনশন চার্জ বাবাদ লোকসান হবে। তবুও পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক্সপোর্ট বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
Sebak DebSarma