TRENDING:

Elephant Death: নকশালবাড়িতে 'স্মরণে কানছেঁড়া'! বন্ধু বিদায়ে চোখে জল স্থানীয়দের

Last Updated:

Elephant Death: পূর্ণ বয়স্ক দুই দাঁতালের লড়াইয়ে মৃত্যু হয় "কানছেঁড়ার"! তরাইয়ের জঙ্গল এলাকায় " কানছেঁড়া" নামেই পরিচিত ছিল বুনো দাঁতাল হাতিটি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নকশালবাড়ি: বন্য জন্তুদের মধ্যে সঙ্গিনীকে নিয়ে লড়াই নতুন নয়। এর আগেও হয়েছে একাধিক জঙ্গলে। আবার কখনও এলাকা দখল নিয়েও লড়াই চলে বন্য প্রাণীদের। লড়াইয়ে প্রান গিয়েছে কোন বন্যপ্রাণীর। সম্প্রতি শিলিগুড়ি লাগোয়া কার্শিয়ং বন বিভাগের আওতাভুক্ত বামনপোখরি জঙ্গলে সঙ্গিনীকে নিয়ে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে দুই দাঁতাল। পূর্ণ বয়স্ক দুই দাঁতালের লড়াইয়ে মৃত্যু হয় "কানছেঁড়ার"! তরাইয়ের জঙ্গল এলাকায় " কানছেঁড়া" নামেই পরিচিত ছিল বুনো দাঁতাল হাতিটি। কারণ ওর দুটো কানই ছেঁড়া ছিল।
advertisement

২০০৯ সালে নামকরণ করা হয় কানছেঁড়ার। তবে দাপটও কম ছিল না। তরাইয়ের নকশালবাড়ি, কলাবাড়ি, বাগডোগরা, দুধিয়া, বামনপোখরি এলাকায় আনাগোনা ছিল "কানছেঁড়ার"। জঙ্গল লগোয়া এলাকার বনবস্তিবাসীদের অত্যন্ত প্রিয় ছিল " কানছেঁড়া"। গত ১৯ জুলাই সঙ্গিনীকে নিয়ে লড়াইয়ে মৃত্যু হয় "কানছেঁড়ার"।

খবর চাউর হতেই তরাইয়ের বনবস্তিবাসীদের মন বিষন্ন হয়ে পড়ে। ২০১৯ থেকে পুরনো দল ছেড়ে এলাকায় একাই দাপিয়ে বেড়াতো সে। রবিবার বিকেলে নকশালবাড়ির বন দপ্তরের কলাবাড়ি বিটে বিশেষ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। কলাবাড়ি বিটে "স্মরণে কানছেঁড়া" আয়োজন করে ঐরাবত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। স্মরণ সভায় কানছেঁড়াকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। যা ইতিবাচক এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন সংগঠনের সদস্যরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

মূলত বন্যপ্রাণ সংরক্ষনই ছিল স্মরণ সভার উদ্দেশ্য। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে হাতিকে বাঁচাতে হবে এবং বন-জঙ্গলকে রক্ষা করতে হবে, এই আহ্বান জানানো হয়। ঐরাবত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা অভিযান সাহা জানান, এদিনের স্মরণ সভায় স্থানীয়দের উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক। উত্তরের তরাই অঞ্চলে বনবস্তি এবং চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় এক ডাকেই পরিচিত ছিল "কানছেঁড়া"। ইন্দো-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া নকশালবাড়ি থেকে কার্শিয়ংয়ের বামনপোখরি জঙ্গল সর্বত্রই ওর অবাধ যাতায়াত ছিল। পুরনো দল ছেড়ে গত কয়েক বছর একাই দাপিয়ে বেড়াত এই গজরাজ! কিন্তু শেষমেশ এভাবে ওর মৃত্যু মানতে পারছে না পশুপ্রেমীরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Elephant Death: নকশালবাড়িতে 'স্মরণে কানছেঁড়া'! বন্ধু বিদায়ে চোখে জল স্থানীয়দের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল