স্থানীয় বাসিন্দা ও বনদফতরের কর্মীদের অনুমান, বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ছিঁড়ে পড়েছিল হাইটেনশনের তার। সেই তারে পা পড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় হাতিটির ৷ খাবারের খোঁজে এদিকে চলে আসে হাতিটি ৷
জানা গিয়েছে, নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে বনকর্মীদের। হাতির মৃত দেহ তুলতে এখন ক্রেন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।নদীতে জল না কমলে উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। রাত থেকে এখন ধান ক্ষেতের পাশে পরে রয়েছে হাতির দেহ।
advertisement
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বাঁকুড়ায় বড়জোড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দুটি হাতির। ফসল বাঁচাতে খেতের পাশে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। সেই তার পায়ে লেগেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দুটি হাতির। কখনও দ্রুত গতির রেলের ধাক্কায় মৃত্যু, কখনও বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মৃত্যু। তার উপর জঙ্গলে চোরাচালানকারীদের উপদ্রব। বারবার এরকম মৃত্যুতে হাতির সংখ্যা ক্রমশই কমছে বলে মত প্রাণীবিশেষজ্ঞদের। তাদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্র ও রাজ্য এই বিষয়ে সচেতন না হলে, একসময় বাঁচানোই মুশকিল হয়ে যাবে এশিয়ার বৃহত্তম এই প্রাণিকূলকে ।