বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্কুলের বারান্দায় রাত্রিযাপন করেন আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের মধ্য খয়েরবাড়ির বাসিন্দা চেপটি শৈব ও ফুলমণি মুণ্ডা।মধ্য খয়েরবাড়ির বাসিন্দা ফুলমণি মুণ্ডার ঘর বুনো হাতি প্রায় কুড়ি বার ভেঙে দিয়েছে। অপরদিকে ওই গ্ৰামের বাসিন্দা চেপটি শৈবর ঘরে হাতি প্রায় পনেরো বার ভাঙচুর চালিয়েছে। তাই প্রাণে বাঁচতে এই দুটি পরিবার সূর্যাস্ত হলে পাশেই স্কুলের বারান্দায় চলে আসে মধ্যখয়েরবাড়ি বিদ্যালয়ের দোতালায়।এই স্থানে হাতির হানার ভয় নেই।
advertisement
প্রবীণ চেপটি শৈবর একমাত্র ছেলে কাজ করতে বাইরে গিয়েছে। বর্তমানে বাড়িতে একাই থাকেন চেপটি শৈব। সারাদিন নিজের ঘরে বসবাস করলেও সন্ধ্যা হলেই আর এক সেকেন্ডও দেরি করেন না তিনি। রাতের খাবার সঙ্গে নিয়ে চলে যান স্কুলের বারান্দায়।
আরও পড়ুন : ১ চামচ মৌরিদানাই কমাবে ওজন! রোগা হওয়ার সুপারহিট ফর্মুলা! শুধু এই সময়ে খান এভাবে
অপরদিকে ফুলমণি মুণ্ডার বাড়িতে পুত্রবধু ও এক নাতি আছে। ছেলে কাজ করতে বাইরে গিয়েছে। ফুলমণি মুণ্ডা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সন্ধ্যা হতেই চলে আসে স্কুলের বারান্দায়। তাঁরা জানান, “সন্ধ্যা হতেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল থেকে বুনো হাতির দল এলাকায় হামলা চালায়। বাসিন্দাদের জমির ফসল, ঘরবড়ি সব নষ্ট করে দেয়।প্রাণ বাঁচাতে চলে আসি আমরা স্কুলে।”
এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কিশোর মুণ্ডা জানান, ” এই দুই পরিবারের জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। আবাস যোজনার তালিকায় এঁদের নামও আছে। গ্ৰামে প্রতিনিয়ত বুনো হাতির দল আসে।বন দফতরের সঙ্গে কথা বলছি।”