পারিবারিক দুর্গাপুজো আজও নিয়ম-নীতি রেওয়াজ মেনেই পালন করার চেষ্টা করেন সাহা পরিবার। চালের ব্যবসায়ী থেকে হঠাৎ করে এলাকায় জমিদারি লাভ করে বনমালী সাহা। বালুরঘাট শহরেই তাঁর ব্যবসার কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এরপর আত্রেয়ী দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে, বদলেছে সময়। এখন আর জমিদারি নেই, কিন্তু দুর্গাপুজোর যে পারিবারিক রীতি রেওয়াজের ক্ষেত্রে কোনওরকম ছেদ পড়েনি। ইতিমধ্যেই মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা ধীরে ধীরে হলেও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের অস্থিরতার কারণে বিগত দুই বছর যাবত আত্মীয়-পরিজনরা আসতে পারেনি। এবার আবার আশায় বুক বাঁধছেন সাহা পরিবারের একমাত্র বংশধর কৃষ্ণকালী সাহা। সাহাবাড়ির এই পুজোকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধনের ছবি ফুটে ওঠে। পুজোর ক’দিন এপার বাংলা ওপার বাংলা মিলে যায় সাহা পরিবারের অঙ্গনে।
advertisement
আরও পড়ুন : লাগবে না দামি ওষুধ! পেঁয়াজের রসেই খসে পড়বে আঁচিল! অস্বস্তি মুক্তির সেরা টোটকা!
এখনও বন্ধন ষষ্ঠী বা দ্বাপর ষষ্ঠীর দিন থেকে দুর্গার কাঠামো পুজো শুরু হয়। পুজোর কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গে দেবীর প্রতিমার গঠনেরও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও পুজোর ভোগ নিবেদনের ক্ষেত্রেও বিশেষ রীতি রেওয়াজ রয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে দেবীর সামনে কোনও অন্নভোগ দেওয়া হয় না। দীর্ঘদিন যাবত এই রীতি মেনে চলে সাহা পরিবার। তবে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের জামিনতা গ্রামে সাহা পরিবারের অন্য সদস্যরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করতেন। কিন্তু এখন সেখানে পুজো অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরে ওপার বাংলার সাহা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বালুরঘাটে আসতে পারবে কিনা সেই পথ চেয়ে রয়েছেন সকলেই।