ভূটান সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলার সবচেয়ে সুন্দর এবং দুর্গম এলাকা বক্সা পাহাড়। সেই বক্সা পাহাড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ১৩টি গ্রাম। এই গ্রামগুলিতে বসবাস করেন লেপচা, ডুকপা জনজাতির মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার এই ১৩টি গ্রামের প্রতিটিতেই বসতে চলেছে দুয়ারে সরকারের শিবির। এর আগে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে বক্সা দুর্গের ময়দানে বসেছিল দুয়ারে সরকারের শিবির। তখন এই দুর্গম এলাকায় ট্রেক করে পৌঁছে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক ও কালচিনির বিডিও। আধিকারিকদের সাথে নিয়ে শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। বাকি ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা পাকদণ্ডী বেয়ে নেমে এসে এই শিবিরে পরিষেবা নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বক্সা, লেপচাখা, আদমা, তাসিগাঁও সহ মোট ১৩টি পাহাড়ি গ্রামেই আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প।
advertisement
সাধারণত যে কোনও প্রয়োজনে বক্সা পাহাড়ের মানুষদের নেমে আসতে হয় রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস অথবা কালচিনির বিডিও অফিসে, যা তাঁদের জন্য যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ও কষ্টের। তাই এবার এই পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা যাতে সমস্ত সরকারি পরিষেবা তাঁদের গ্রামেই পান সেই জন্যই এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ের প্রতিটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে ওই শিবিরগুলিতে উপস্থিত থাকবেন।এখানে পরিবহণ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। দুর্গম পাহাড়ি পথ। পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে আলিপুরদুয়ারের বক্সা পাহাড়ের কোলে বসতি কয়েকটি গ্রামের। থাকেন লেপচা, ডুকপা জনজাতির মানুষ। তা বলে কি সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন? সেই সব মানুষদের জন্য 'দুয়ারে সরকার'-র শিবির বসালেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক।