আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি! ১০৩ ঘণ্টার অনশনের পর হাসপাতালে বিমল গুরুং
হঠাৎ আসা হড়পা বানের স্রোতে ভেসে যেতে থাকেন ওই পর্যটকের দল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলের তোড়ে তলিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা। এলাকাবাসীর চেষ্টায় কোনোক্রমে পরিবারের ৬ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও জলে ডুবে মৃত্যু হয় ওই মা ও মেয়ের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাগরাকাটা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নাগরাকাটা থানা পুলিশ।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, হঠাৎ বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। তাতেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে ভেসে যান পর্যটকের দল। তাঁদের মধ্যে এক মা-মেয়েও ছিলেন। কিছুক্ষণ পর চারজনের দেহ উদ্ধার হয়। তাদের মধ্যে ওই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। বাকি দুজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গিয়েছে। সুলকাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। দেহ দু’টিও ওই হাসপাতালে রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আচমকা রান্নাঘরে চড়াও... এলোপাথাড়ি চলল ছুরি! হাড়হিম ঘটনা হরিদেবপুর নেশামুক্তি কেন্দ্রে
প্রসঙ্গত, হড়পা বান হল এক ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যা আচকাই ঘটে যায়। স্বল্প এলাকা জুড়ে সংঘটিত দ্রুত গতির বন্যাই হল হড়পা বান। সাধারণ বন্যার সঙ্গে হড়পা বানের পার্থক্য কেবল সময়ের পরিসরে। সাধারণ বন্যা যেখানে দীর্ঘ সময় জুড়ে বিরাজ করে, সেখানে হড়পা বানের স্থায়িত্ব খুবই কম এবং দ্রুত গতিতে ঘটে থাকে। স্বল্প স্থান জুড়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যেই হড়পা বান উপস্থিত হয়। এ প্রসঙ্গ বলে রাখা ভাল, পাহাড়ি এলাকায় বর্যাকালে এধরনের বিপর্যয় বেশি ঘটে থাকে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে হড়পা বানের কবলে পড়ে উত্তরাখণ্ডে বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন অসংখ্য।