আগামী দিনে এই সম্ভাবনা আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "পৃথক উত্তরবঙ্গ (Separate North Bengal) রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে দলেরই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা (John Barla) নিজের ঘোষণায় এখনও অটুট। দিল্লির কাছে এই দাবিতে সরব হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।" তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তরের একাধিক বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
advertisement
এদিকে, গেরুয়া শিবিরের রাজ্য ভাগের ইস্যুকে সামনে রেখে পালটা ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক দলের নেতা, কর্মীরা। এই অবস্থায় আজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা গতকালই দার্জিলিংয়ের রাজভবনে বিজেপির জোটসঙ্গী সিপিআরএম, এবিজিএল সহ গোর্খা রাষ্ট্রীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা পৃথক গোর্খাল্যাণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছেন রাজ্যপালের কাছে। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায় তাঁর এই সফর মূলত দলীয় সংগঠন আরও মজবুত করার উদ্দেশ্যেই।
সামনেই পুরভোট। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরের ৮টির মধ্যে ৭টি আসন জিতে নেয় পদ্ম শিবির। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিনে ভরাডুবি হলেও উত্তরে ভালো ফল করেছে। ৫৪-র মধ্যে ৩০টি আসন জিতেছে বিজেপি। তবে দলীয় বিধায়কদের ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে বিজেপির। কেননা মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পরেই বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কের দল ছাড়ার গুঞ্জন ওঠে। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবি, "একজন বিধায়কও দল ছাড়বেন না। যাঁরা ছাড়ার, চলে গিয়েছেন। আবর্জনা মুক্ত হয়েছে দল। এবারে লড়াই পুর ভোট। তার প্রস্তুতি শুরু করতেই এই সফর।"