বঙ্গ বিজেপি নেতারা সবসময়ই অভিষেককেই নিজেদের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখেন। ধূপগুড়ির ফলাফল সামনে আসতে সেই অভিষেককেই প্রকাশ্যে না বললেও আড়ালে এবার তাঁদের প্রার্থীর পরাজয়ের নেপথ্যের অন্যতম জননেতা বলে কার্যত মানছেন বিজেপিরই একটা অংশ। সাংগঠনিক দুর্বলতা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো হারের অন্যতম কারণ হিসেবে রয়েইছে, তবে ধূপগুড়িতে বিজেপির পরাজয়ের অন্যতম ফ্যাক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহকুমা ঘোষণা বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের অনেকেই।
advertisement
চা বলয়ের মানুষরাও এবার বিজেপির থেকে মুখ ফেরানোয় বিজেপির কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া হয়েছে। বলা বাহুল্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতোই মহকুমা করার সিদ্ধান্তের কথা শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার আগে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বরেই জলপাইগুড়ি জেলায় নতুন মহকুমা। মহকুমা হবে ধূপগুড়ি। শুক্রবার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল বের হয়। আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। এরপরেই ধূপগুড়িকে মহকুমা করার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন– দেড় বছর পর রাশি বদলাচ্ছে রাহু! ধন, মান বাড়বে এই রাশির জাতক-জাতিকার
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি রেখেই ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে। প্রশাসনিক কাজের জন্য ২ মাস সময় লাগবে। আগামী ডিসেম্বরেই ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করা হবে। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দাবি দীর্ঘ দিনের। ধূপগুড়ি এখন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমায়। প্রশাসনিক দফতরগুলি সবই জলপাইগুড়ি শহরে। ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি শহরের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। ধূপগুড়ি মহকুমা হলে প্রশাসনিক দফতর ধূপগুড়িতেই হবে। প্রশাসনিক কাজ বা চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ি শহরে আর যেতে হবে না। ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় ১টি পুরসভা এবং ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত। ধূপগুড়ি মহকুমা হলে এই সব এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা হবে। ধূপগুড়ির বাসিন্দাদের বড় ভরসা গ্রামীণ হাসপাতাল। ধূপগুড়ি মহকুমা হলে গ্রামীণ হাসপাতালও উন্নীত হবে মহকুমা হাসপাতালে।
জলপাইগুড়ি জেলায় এখন দু’টি মহকুমা। জলপাইগুড়ি সদর এবং মালবাজার। ডিসেম্বরে যদি ধূপগুড়ি মহাকুমা হ,য় সেই সংখ্যাটা তাহলে বেড়ে তিন হবে। মহকুমা হবে ধূপগুড়ি। আর যদি ধূপগুড়ি শেষমেষ মহকুমা হিসেবে চিহ্নিত হয় সে ক্ষেত্রে এই বিধানসভা কেন্দ্র ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পুনরুদ্ধার করা বিজেপির কাছে যথেষ্টই চ্যালেঞ্জের হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।