‘ভোটে জিতলে ধূপগুড়ির পৃথক মহকুমার দাবি এবং আরও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে লড়াই করব’, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রফেসর নির্মল চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সারমর্ম।
আসন্ন ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে প্রফেসর নির্মল চন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তাঁর প্রতিশ্রুতি, ধূপগুড়ি শহরকে মহকুমায় উন্নীত করার যে দাবি বাসিন্দারা দীর্ঘদিন করে আসছেন, তিনি তা পূরণের জন্য লড়াই করবেন। একই সাথে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা করবেন তিনি বলেও প্রচার চালিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দিচ্ছে ডাক এই ২৮’, প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে তুঙ্গে প্রস্তুতি! ২৫-এ পা দিচ্ছে টিএমসিপি
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রফেসর রায় বলেন, “ধূপগুড়িকে মহকুমায় উন্নীত করতে পারলে এখানকার বাসিন্দারা আরও ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এই পদক্ষেপ স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতে আমাদের সহায়তা করবে।” তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আরও জানান, ভোটে জিতলে গ্রাম ও শহর নির্বিশেষে ধূপগুড়ির সামগ্রিক উন্নয়নে নজর দেবেন তিনি।
ভোট প্রচারে বেরিয়ে তিনি যান গাদং-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিখ্যাত ভামোরি দেবী মন্দিরে। সেখানে প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলার জন্য জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি সোনাতলা বাজারের দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলেন। ইন্দ্রজিৎ দে নামে বাজারের এক দোকানদার বলেন, “উনি ভোট প্রচারে এসেছিলেন, এলাকার বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আছে। আমরা ধূপগুড়ির মানুষ সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছি।”
শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাথুয়া বাজার এলাকায় একটি মিছিলের পর বানারহাট ব্লকের দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে স্বাগত জানান দলের স্থানীয় নেতা ও পর্যবেক্ষকরা।
ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা সূত্রধর বলেন, “আমরা নিশ্চিত ধূপগুড়ির মানুষ প্রফেসর রায়কেই ভোট দেবেন। এখানকার প্রত্যেক বাসিন্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুফল পেয়েছেন। সেই কারণেই মানুষ প্রফেসর রায়কে আশীর্বাদ করবেন।” নেপালি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন কারবালা চা বাগানেও প্রচারে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন৷ ইতিমধ্যেই ভোটপ্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল-বাম-বিজেপি সব পক্ষই৷ বিজেপি ও তৃণমূলের তরফে তৈরি হয়ে গিয়েছে তারকা প্রচারকের তালিকাও৷