গত ৫ অক্টোবর বন্যায় বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির একাধিক ব্লক। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ। এখনও অস্থায়ী ঠিকানায় রাত কাটছে বহু বানভাসির। পলি,কাদা,জমা জলে একাকার অবস্থা। বাড়ছে মশার উপদ্রব। বানভাসিদের মধ্যে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
advertisement
এমনিতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রবন জেলা হিসেবে চিহ্নিত জলপাইগুড়ি। এই পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৬ জন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৩। এই অবস্থায় বানভাসি এলাকায় ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া মাথা চাড়া দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৩৮ টি মেডিক্যাল ক্যাম্প।৫ টি মোবাইল মেডিক্যাল ক্যাম্প চালু রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। জ্বরে আক্রান্ত রোগী এলেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মশারি তুলে দিয়েছে প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কিন্তু সেই মশারির মান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে বানভাসিদের।
ইতিমধ্যেই নাগরাকাটা এলাকায় মশা প্রতিরোধক ১০ হাজার মশারি বিলি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। আরও এগারো হাজার মশারি বিলির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মশারির গায়ে ওষুধ মেশানো থাকবে।এতে মশারা কোনও ভাবেই রোগ ছড়াতে পারবে না বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার জানিয়েছেন।