যার ফলে স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি চিন্তায় পড়েছে ধূপগুড়ি পৌরসভা। শহরে মশা মাছির উপদ্রব প্রতিদিন বাড়ছে, আর এই মশা বাহিত রোগে চিন্তা বাড়িয়েছে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের। অভিযোগ নিয়মিত শহরে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হয় না। তাই ধূপগুড়ি শহরেও ডেঙ্গু পুনরায় থাবা বসাতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন শহরবাসী।
আরও পড়ুন: ১০ টাকার নোট ভাইরাল! জীবনের গোপন কথা নোটে ফাঁস করলেন যুবতী! কী আছে তাতে?
advertisement
এদিকে মাঝে মধ্যেই চলছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। আর বিভিন্ন স্থানে টায়ার, পুরোনো বিভিন্ন জিনিসপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই জমে থাকা জল থেকে মশা, মাছির সংখ্যা বাড়ছে। সেইসাথে মশা, মাছি বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। আর ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় কিছুটা হলেও চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। কেননা এবার আক্রান্ত তিনজনই ভিন্ন ভিন্ন তিনটি গ্ৰামের বাসিন্দা। তাই আরও কেউ আক্রান্ত রয়েছেন কিনা সে ব্যাপারেও উদ্বেগে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।ধূপগুড়ি পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা জলে মশার লার্ভা জন্ম হওয়া এবং মশার উপদ্রব বাড়ায় চিন্তিত শহরবাসী। শহরবাসীর অভিযোগ করেন নিয়মিত মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হয় না, আর যার জেরে শহরেও ডেঙ্গু ছড়াতে পারে পুনরায় এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পলাশ সরকার ধূপগুড়ি পৌরসভার বাসিন্দা অভিযোগ করেন, "মশার উপদ্রব গোটা শহর জুড়ে প্রকোপ। মশার উপদ্রবে ঘরে টেকা দায় হয়ে গিয়েছে। সময়মতো মশার ওষুধ স্প্রে করা হয় না ড্রেন গুলি ঠিকঠাক পরিষ্কার করা হয় না মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে।একে মহামারী তার ওপরে মশার উপদ্রব চিন্তার মধ্যে ফেলেছে আমাদেরকে মশাবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে বয়স্ক মানুষ রয়েছে আমরা একটি আবেদন করব যেন সঠিক মত মশা মারার স্প্রে হয় এবং ড্রেন গুলি যাতে সময় মতো পরিষ্কার করা হয়।"
ধূপগুড়ি পৌরসভা ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং জানান, "আমরা সতর্ক আমরা প্রতিনিয়ত পুলিশ প্রশাসন কে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাই।যেসব বাড়িতে বা গোডাউনের পেছনে আবর্জনার স্তুপ করে রাখে বা যেখানে জল জমে ডেঙ্গু ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে সেসব জায়গায় আমরা ভিজিট করি এবং আমাদের পৌরসভার কর্মীরা প্রতিনিয়ত মশা মারার স্প্রে করে চলছে পৌরসভাকে যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দাওয়া হয়েছে সেভাবেই আমরা কাজ করে চলছি। আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ রয়েছি।"
SEKH ROCKY CHWDHURY