এর আগে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে নদীতে করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার ঘটনায় দেশ জুড়ে হইচই হয়। সেই সময় ঝাড়খণ্ড হয়ে গঙ্গা নদীপথে মৃতদেহ মালদহে চলে আসতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছিল রাজ্য প্রশাসন । সেই মতো মালদহ- ঝাড়খণ্ড সীমান্তে গঙ্গা নদীতে নজরদারি বাড়ায় প্রশাসন।
এদিন স্থানীয়রাই প্রথম গঙ্গা নদীতে দেহ ভাসতে দেখেন। জানা গিয়েছে , শনিবার দুপুর একটা নাগাদ গঙ্গা নদীর কোষি ঘট এলাকায় প্রথম পচাগলা একটি মৃতদেহের হদিশ মেলে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় ভূতনি থানার পুলিশ। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান , নদীতে আরও একটি দেহ দেখেছিলেন তাঁরা। এরপর পুলিশ নদীতে তল্লাশি করতে গিয়ে দুপুর সোয়া দুটো নাগাদ হিরানন্দপুর পঞ্চায়েতের বাঁশবাধটোলা প্রাথমিক স্কুল ঘাট এলাকায় আরও একটি দেহ দেখতে পায়। এদিন উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের একটি কমলা রঙ-এর প্লাষ্টিকে মোড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। দেহ প্লাষ্টিকে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় রহস্য দানা বেঁধেছে । মৃতদেহ দুটিতে পচন ধরে যাওয়ায় পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, দেহ দুটি বেশ কিছু দিন ধরেই জলে ভাসছিল।
advertisement
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ভূতনি চর মালদহ ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা এলাকায় অবস্থিত। ওই এলাকায় ভেসে আসা দেহ প্রতিবেশী রাজ্যের হতেই পারে। দেহ দুটির কোনো শনাক্তকরন সম্ভব হয়নি এখনও।