‘বেবি সেবক’ নামে পরিচিত শতাব্দী প্রাচীন ভিনটেজ স্টিম ইঞ্জিনটির পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং ডিএইচআর-এর একাধিক আকর্ষণের সঙ্গে এটিকেও যুক্ত করা হয়েছে। ঘুম শীতকালীন উৎসব চলাকালীন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তবের দ্বারা এই উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।
advertisement
ঘুমে এখন গর্বের সঙ্গে ‘বেবি সেবক’ প্রদর্শিত হচ্ছে। এই গর্বের ঐতিহ্যকেই পর্যটকদের জন্য একটি নতুন দ্রষ্টব্য হিসেবে তুলে ধরেছে রেল। একশো বছরেরও বেশি আগে জার্মানির ওরেনস্টেইন অ্যান্ড কোপেল থেকে ঠিকাদারের লোকোমোটিভ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল স্টিম ইঞ্জিন ‘বেবি সেবক’-এর। ডিএইচআর-এর তিস্তা ভ্যালি এবং কিষানগঞ্জ শাখা নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল বলে মনে করা হয়। এর নাম তিস্তা ভ্যালি লাইনের সেবক স্টেশনের নামে রাখা হয়েছিল।
কয়েক দশকের পরিষেবার পর ১৯৭০ সালে ইঞ্জিনটি অবসর লাভ করে এবং ১৯৯০-এর শেষের দিক থেকে শিলিগুড়িতে প্রদর্শিত হয়। ২০০০ সাল থেকেই ঘুম স্টেশনের আউটডোর প্রদর্শনী হিসেবেই ছিল। কিন্তু এরপর এর অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। এর ঐতিহাসিক মূল্যের স্বীকৃতি জানাতে স্টিম ইঞ্জিনটি তিনধরিয়া ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নিজস্ব দক্ষ কর্মীদের দ্বারা সতর্কতার সঙ্গে এর মেরামতি করা হয়, আসল আকর্ষণ বজায় রেখে এটিকে পুনঃজীবিত করে তোলা হয়।
ডিএইচআর-এর ঐতিহ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মাইলস্টোন হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে ‘বেবি সেবক’ স্টিম ইঞ্জিনের এই পুনরুদ্ধার। এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট টুকরোকে সংরক্ষণ করার জন্য নয়, বরং তার পাশাপাশি অতীতের ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময় উদযাপনের একটি নির্দর্শন হিসেবেও কাজ করে।