ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ-সহ ত্রাণবণ্টনের কাজ শুরু হয়েছে। বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের। উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সেইসঙ্গে ভুটান পাহাড় থেকে নামছে জল। তাতে বিপদ বেড়েছে তরাই-ডুয়ার্সের। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার রাত থেকেই টানা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন গোটা পরিস্থিতি। কালীঘাটের বাড়ি থেকেই রবিবার দফায় দফায় ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। নবান্নে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সঙ্গে সেচ সচিব মণীশ জৈন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা সচিব রাজেশ সিনহা।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নবান্ন থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন শীর্ষকর্তারা। পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন। পর্যটকদের জন্য পুলিশের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর ( ৯১ ৯১৪৭৮ ৮৯০৭৮)। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবারই নবান্ন থেকে রওনা হয়েছে একটি বিশেষ প্রশাসনিক দল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিবের নেতৃত্বে ওই দলে রয়েছেন কৃষি দফতরের সচিব, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সচিব-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। নিচু এলাকা ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজও চলছে জোরকদমে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাপ্লাবিত হওয়ায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শনিবার রাত্রে উত্তরবঙ্গে কয়েক ঘণ্টার বিপুল বৃষ্টি হওয়ায় এবং বাইরে থেকে নদীর জল আমাদের রাজ্যে বিপুল পরিমাণে এসে পড়ায় বিশেষত উত্তরবঙ্গে উদ্বেগজনক বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।