স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বছর অক্টোবরে পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে বালাসন সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর সেতুর একাংশে ব্রেইলি ব্রিজ করা হয়। পাশাপাশি বিকল্প সেতুও তৈরি করা হয়। যা ছিল শিলিগুড়ির সঙ্গে নেপাল, কলকাতার সংযোগকারী সড়ক। আবার উলটো দিক দিয়ে বাগডোগরার সঙ্গে দার্জিলিং, সিকিম, অসম, ডুয়ার্সের এটাই লাইফ লাইন। ডাইভারশন রোড ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ল ফের।
advertisement
আজ এলাকা পরিদির্শনে যান পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়রেরা। যান শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা, ট্র্যাফিক পুলিশের ডিএসপি পূর্ণিমা শেরপা। পরিদর্শনের পর এডিসিপি জানান, আপাতত এই রোড দিয়ে কোনো ভারী যানবাহন চলবে না। যাত্রিবাহী সরকারি এবং বেসরকারি বাস, পুলিশ, সেনা এবং আধা সেনার বড় ট্রাকও চলবে না। ব্রেইলি সেতু দিয়ে ছোটো যাত্রিবাহী গাড়ি, বেসরকারি গাড়ি, দুই চাকার মোটর বাইক চলবে। অ্যাম্বুল্যান্স-সহ জরুরি পরিষেবার গাড়ি চলাচল করবে। এমনকি টোটো এবং সিটি অটো চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
ডাইভারশন রোড ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা৷ ঘুরপথে চলাচল করছে গাড়ি। শিবমন্দির, নৌকাঘাটের মধ্য দিয়ে দূরপাল্লা এবং শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগকারী যানবাহন চলাচল করছে। ভেঙে যাওয়া স্পার সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। বৃষ্টি না কমলে এই হিউম পাইপের সেতুও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৮ মাসেও কেন বালাসনের মূল সেতু সংস্কার করা সম্পন্ন হল না? এই প্রশ্নই তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।