আরও পড়ুনঃ ‘২৮০ কোটি মানুষের উপকার’, খুব ‘কাছাকাছি’ চিন-ভারত! সফল বৈঠকে প্রেশার বাড়বে ট্রাম্পের আমেরিকার
আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী সুহৃদ মজুমদার বলেন, “নাবালিকা অবস্থাতেই প্রথমে মেয়েটিকে ২০২৩ সালের নভেম্বরে একবার ধর্ষণ করা হয়। সেসময় ধর্ষণের ছবি তুলে রাখে দুষ্কৃতি। সেই ছবি দেখিয়ে এর পর তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর মেয়েটির পরিবার বীরপাড়া থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ জমা করে। পরের দিন অভিযুক্তকে জয়গাঁর একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এই মামলায় ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠন হয়। পরে ৮ এপ্রিল ১০ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড সম্পূর্ণ হয়। অবশেষে অভিযুক্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দিল আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলায় পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত ও চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই মামলায় নিগৃহীতার পক্ষের আইনজীবী শ্রীলা মজুমদারের ভূমিকা প্রশংসনীয়।”
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বীরপাড়া থানা এলাকাতেই নিগৃহীতা ও অভিযুক্তের বাড়ি। অভিযুক্তের নাম এনামুল হক। এনামুল বিবাহিত। তার চারটে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে সন্তানের বয়স ১৭ বছর। ছোট সন্তান ছেলের বয়স ৫ বছর। তারা বীরপাড়ার লালপুল এলাকার বাসিন্দা। এরপরেও ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আদিবাসী নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে সে। এরপরে ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাড়িতে করে ওই আদিবাসী তরুনিকে জয়গাঁর একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন ১৮ নভেম্বর অভিযুক্ত এনামুলের নাম করে বীরপাড়া থানায় অভিযোগ জানায় নিগৃহীতার পরিবার। এর পরে জয়গাঁয় একাধিক হোটেল পরিবর্তন করতে থাকে অভিযুক্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের আদালতে তুললে বিচার শুরু হয়। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বীরপাড়া থানার এস আই তাপস রায় বলেন, “আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেই। দোষ করলে অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। ”