সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি মালদহের খোলা বাজারেও এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলি অল্প দামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে সরকারি দপ্তরের জন্য ৫০০ মিলিলিটারের বোতল এবং বেসরকারি ব্যবহারের জন্য ২০০ মিলিলিটারের বোতল তৈরি করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে জেলার বাজারে আচমকাই কয়েক গুন চাহিদা বেড়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। সাধারন মানুষ বাজারে হন্যে হয়ে ঘুরেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যরা জানিয়েছেন,জল, গ্লিসারিন, স্পিরিট, অ্যালকোহল, এসেন্স এবং রং মিলিয়ে এই স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে।
advertisement
মালদহে ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, পুরসভা, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌছানোর কাজ শুরু হয়েছে। দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ হাজার লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছেন মহিলারা। মালদহের জেলাশাসক রাজষি মিত্র-সহ পদস্থ কর্তারা শনিবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ খতিয়ে দেখেন। জেলাশাসক জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া মান অনুযায়ী হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি চাহিদা মেটানোর পর বিভিন্ন ওষুধের দোকানের মাধ্যমে সাধারন মানুষের মধ্যে এগুলি বিক্রি করা হবে। ২০০ মিলিলিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৪০ টাকা।
Sebak DebSarma