আর দিন কয়েক বাদেই শিলিগুড়িতে পুরভোট। পাড়ায় পাড়ায় চলছে প্রচার। যদিও কোভিড বিধি মানছেন প্রায় প্রতিটি প্রার্থীই। কিন্তু দলীয় কার্যালয়গুলিতে ভিড় যে কমছে না! গত ২৪ ঘন্টায় পাহাড়ী এলাকায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ জন। আর সমতলের চার ব্লক মিলিয়ে আক্রান্ত ১১১ জন। যা যথেষ্টই উদ্বেগের।
আরও পড়ুন- বনমন্ত্রীর আশ্বাসে গরুমারা প্রবেশদ্বারের সামনে অস্থায়ী বনকর্মীদের ধর্মঘট উঠল
advertisement
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে। আশার কথা, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা জয় করেছেন ৬২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ আক্রান্তের। বাড়ছে গ্রাফ। নিয়ন্ত্রণে শহরের সব বাজার ও মার্কেট সপ্তাহে ১দিন করে পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তবুও হুঁশ ফিরছে না শহরবাসীর একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে।
যেখানে বার বার করে বলা হচ্ছে মাস্ক মাস্ট। বাড়ি থেকে বেরোলেই নাক ও মুখ ঢাকতে হবে মাস্কে। সেখানে উলটো ছবি। এনজেপি এলাকায় মাস্ক ছাড়া বের হওয়ায় চলে ব্যাপক ধরপাকড়। অন্য প্রান্তেও চলে পুলিশি অভিযান।
আরও পড়ুন- টিকা নিতে নারাজ স্কুল শিক্ষক, বাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামের মহিলারা
রাতে শিলিগুড়ির রাস্তায় নামেন পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মাও। মহাত্মা গান্ধী মোড় এবং শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেন তিনি। তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে ভবঘুরেদের মাস্ক পরিয়ে দেন তিনি। অন্য যাত্রীদের মধ্যেও তা বিলি করেন। সেইসঙ্গে মাস্ক পড়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করে তোলেন পথচলতি সাধারণ মানুষদের।
পুলিশ কমিশনার বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের কোভিড গাইড মেনে চলতে হবে। নতুন যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা পালন করতে হবে। আইন ভাঙলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেইমতো জংশন এলাকাতেও চলে ব্যপক ধরপাকড়। পুলিশি অভিযান, প্রশাসনের মাইকিংয়ের পরও বেহুঁশ জনতা!