২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই শিলিগুড়ি আসনে লড়েছিলেন একে অপরের বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে হেরে ছিলেন ভারতীয় ফুটবলের আয়কন। আজ সেই সব অতীত। এখন একটাই শপথ মারণ নোভেল করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে হবে। আর তাই শিলিগুড়ির প্রথম নাগরিক বললেন, 'ও তো আমার পরিবারেরই একজন সদস্যের মতো। নির্বাচনেও আমার বিরুদ্ধে একটিও শব্দ খরচ করেনি'। তেমনি বাইচুংও বললেন, 'উনি আমার দাদার মতো। ফুটবলেও আমি আমার দাদা, প্রিয় বন্ধু রেনেডি সিংয়ের বিরুদ্ধে খেলেছি। এটা অন্য লড়াই। প্রফেসনাল জায়গা আলাদা। উনি খুব ভালো মানুষ'। এর আগেও একাধীক নির্বাচনে অশোক ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচারেও বেড়িয়েছিলেন বাইচুং। তবে গত বিধানসভা ভোটে প্রতিপক্ষ শিবিরে ছিলেন।
advertisement
আজ রাজনীতি ভুলে বাইচুংই এগিয়ে এসছেন। করোনা সংকটে অভুক্তদের হাতে খাবার তুলে দিতে। তিনি নিজেই ত্রান সামগ্রী তুলে দিয়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার হাতে। আজ শিলিগুড়ির ৬ নং ওয়ার্ডে মেয়রকে পাশে নিয়ে গরিব, দুঃস্থদের হাতে তুলে দিলেন চাল, ডাল। এইভাবেই করোনায় সংকটে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার। বাইচুংয়ের এগিয়ে আসাকে অভিনন্দন জানান অশোক ভট্টাচার্য। লকডাউনের পক্ষেই জোরালো সওয়াল করলেন বাইচুং। করোনার বিরুদ্ধে জিততে গেলে লকডাউন মেনে চলতে হবে। এমনকী ফুটবলারদের ক্ষেত্রেও তা সমান ভাবে প্রযোজ্য। নইলে বাড়বে বিপদ। এদিন মেয়রের সাথে বেশ কয়েক জায়গায় ত্রান সামগ্রী তুলে দেন বাইচুং। পরে তিনবাতি মোড়ে একটি কমিউনিটি কিচেন পরিদর্শন করেন। মেয়র জানান, এই সংকটে বাইচুং এগিয়ে আসায় আগামীতে কাজের গতি আরো বাড়বে। করোনার বিরুদ্ধে জিততে হবে। এখন রাজনীতি করার সময় নয়।
Partha Pratim Sarkar