কোভিডের দুটো ঢেউ কাটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর যখন চেষ্টা শুরু করছিল পর্যটন শিল্প, ঠিক তখনই বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো করোনার তৃতীয় ঢেউ। পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা প্রবল উৎকণ্ঠায় পড়েছে যার জেরে। আজ থেকেই বহু বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। আর তাই আজই পাহাড় ছেড়ে নেমে আসেন প্রচুর পর্যটক। ট্যুর শিডিউল কাটছাঁট করে নেমে আসতে হয় সমতলে। এবারে বাড়ি ফেরার পালা। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। একে ঘোরাটা অর্ধসমাপ্ত, তার উপর কোভিড আতঙ্ক। অনেকেই কাল দার্জিলিং পৌঁছেছিলেন। আজই আবার নেমে আসতে হয়েছে তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন - ঠাসাঠাসি ভিড় কামরায়, বিধিনিষেধকে পাত্তা না দিয়েই ছুটলো লোকাল ট্রেন
আজ টাইগার হিল খোলা ছিল। কারণ, কাল পাস বিলি করা হয়েছিল। কাল থেকে বন্ধ থাকবে টাইগার হিল। বন্ধ দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান চিড়িয়াখানা। বন্ধ থাকবে রক গার্ডেন সহ অন্য পর্যটনকেন্দ্র। ম্যালেও দীর্ঘক্ষন আড্ডা মারার সুযোগ নেই। অগত্যা পাহাড়ে বেড়াতে এসে হোটেলবন্দি থাকতে কেই বা আসবে! তাই মন খারাপ পাহাড়ের। বহু বছর বাদে এবারে আবহাওয়া দারুণ। প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকদের ঘুম ভেঙেছে ঘুমন্ত বুদ্ধ দর্শনে। দার্জিলিঙে তুষারপাতও হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়া বেরোলেই পুলিশি ধরপাকড় বর্ধমানে! করোনা বিধি না মানলেই শাস্তি, দেখুন ভিডিও
আজও ম্যালের ভিউ পয়েন্ট থেকে হাতের মুঠোয় ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। টাইগার হিল থেকেও সূর্যোদয়ের পরই শ্বেতশুভ্র কাঞ্চন দর্শন। কিন্তু কোভিড বিধির জেরে মন বিষন্ন পর্যটকদেরও। পাহাড়ে বেড়াতে আসা উশ্রী সরকার, পল্লবী চক্রবর্তীরা বলছিলেন, "বরফ দেখতে এসে ফিরতে হচ্ছে শূণ্য হাতে।" আরও দিন কয়েক থাকার কথা থাকলেও শিডিউলে পরিবর্তন। আবার যাদের আসার কথা ছিল আগামী কয়েক দিনে, সেইসব পর্যটকেরাও শিডিউল চেঞ্জ করছে। অনেক বুকিং বাতিলের পথে। কেননা দিল্লি, মুম্বইয়ের বিমান ওঠানামা করবে সপ্তাহে দু'দিন। পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল জানান, "পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে বলতে কী বোঝাতে চাইছে সরকার, তা পরিষ্কার নয়। দ্রুত তা পরিষ্কার করতে হবে। পর্যটন ব্যবসা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে।"